বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেন সময়ের দাবি

রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক আট লেন সময়ের দাবি

মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী

দেশের সব সড়কের চেয়ে অর্থনৈতিক দিক থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সড়ক ১০ লেন না করতে পারলে অন্তত ৮ লেন করা জরুরি। নতুবা ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য এক্সপ্রেসওয়ে করতে হবে। এ অভিমত চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর।

চট্টগ্রাম সিটির এই প্রথম মেয়র বলেন, এই বন্দরের গুরুত্ব অস্বীকার করা যাবে না। বছরের পর বছর বন্দরের ব্যবহারযোগ্যতা বাড়ছে। বেড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যও। চট্টগ্রামে যোগাযোগ সুবিধা তেমন বাড়েনি। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বৃহৎ প্রকল্পগুলোর সুফল পেতে হলেও চট্টগ্রামের যোগাযোগ সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন। মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে আরও বলেন, যোগাযোগ সুবিধা না বাড়ালে চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোও অর্থহীন হয়ে পড়বে। কর্ণফুলী টানেলে বিনিয়োগের সুফল আসবে না। চট্টগ্রামে দুটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন, মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দরসহ কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে ঘিরে সরকারের কোনো পদক্ষেপেই কার্যত পুরোপুরি সফলতা আসবে না। অতিসত্বর এ ব্যাপারে পদক্ষেপ না নিলে বিনিয়োগ ও অর্থ-বাণিজ্যের গতি শ্লথ হবে। তিনি বলেন, এ জন্য প্রয়োজন ১০ লেনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এটি সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নিতে না পারলে এক্সপ্রেসওয়ে করতে হবে। সাবেক এই মেয়র বলেন, একটি সড়ক কতটুকু ভার বহন করতে পারবে তার একটি সীমা পরিসীমা থাকে। ব্যবসায়ীরা অনেকেই অভিযোগ করে বলে থাকেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এই ভার বহনের ক্ষমতা নেই বলেই সীতাকুণ্ডে ওজন স্কেল বসানো হয়েছে। ওজন স্কেল বসানোর মধ্য দিয়েই মহাসড়কের ভঙ্গুর দশা কার্যত স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। মাহমুদুল বলেন, কর্ণফুলী টানেল হলে চট্টগ্রামের শিল্পায়ন এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামে পর্যটন সম্ভাবনা বাড়বে। সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি নতুন অধ্যায় শুরু হবে। চট্টগ্রাম- কক্সবাজার রেললাইন হলে তা আরও গতি পাবে। কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যদি বর্তমান দশা থাকে, তবে এসব যুগান্তকারী পদক্ষেপের কোনো সুফল মিলবে না।

সর্বশেষ খবর