নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, এ সরকার এখন গ্যাস কিনতে পারছে না। তারা গ্যাস কিনেছে মধ্যপ্রাচ্যের দুটো দেশ থেকে। তাও অল্প পরিসরে। চুক্তি করেছে অল্প করে। ১০ ডলার করে। এর বেশি করেনি। কারণ ওপেন মার্কেটে ছিল ৪০ ডলার করে। এর ওপর নির্ভরশীল ছিল তারা। এতে করে মালপানি কীভাবে কামানো যায়, অর্থ তছরুপ করা যায় এর ওপর তারা নির্ভরশীল ছিল। দুর্বিষহ লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন ঊর্ধ্বগতি, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও লুটপাটের প্রতিবাদে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মিছিলপূর্ব এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিবাদ সমাবেশ শেষ করে দলের সভাপতির নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব, হাই কোর্ট, পল্টন, নাইটিঙ্গেল, বিজয়নগর হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য এস এম এ কবীর হাসানের পরিচালনায় আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মাহবুব হোসেন, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিন্নুর চৌধুরী দীপু, নাগরিক নারী ঐক্যের সদস্য সচিব ফেরদৌসী আক্তার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় নেতা ইঞ্জিনিয়ার এ জেড এইচ এম সরওয়ার মাহবুব মুকুল, আবু তালেব দেওয়ান, মহিদুজ্জামান, সাকিব আনোয়ার, রাজ্জাক সজীব, নারায়ণগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, সদস্যসচিব কবীর হোসেন, নাগরিক যুব ঐক্যের সভাপতি ইকবাল হোসেন সাম্য, সাধারণ সম্পাদক জহির হোসেন, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম প্রমুখ এতে অংশ নেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশ সরকারের মুখ্য সচিব ব্যাখ্যা দিয়েছেন, লোডশেডিং কীভাবে যৌক্তিক। ডলারের দাম কীভাবে ১১২ টাকা হয়েছে। মন্ত্রীদের এখন আর কথা বলতে হয় না। কারণ সচিবরা কথা বললে তো কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। অবশ্য এখন মন্ত্রীদেরও আর কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। তাদের ভোটেরও কোনো দরকার হয় না। বলা হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নাকি এ জ্বালানি সংকট চলছে! সে দেশগুলো থেকে কতটুকু জ্বালানি আনা হয় তা সবাই জানে।