বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৭ সালে সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রক্রিয়া না মেনেই অন্যায়ভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ কারণে তিনি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেছেন। গতকাল আন্তর্জাতিক গুম দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘১৯৭৭ সালে খুনি জিয়ার সামরিক ষড়যন্ত্রের শিকার আমরা’ ব্যানারে এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান তিনি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বিচার করার বিধিবিধান আছে। কিন্তু কোনো নিয়ম জিয়া মানেনি। নাম একজনের দেখে আরেকজনকে ফাঁসির কাষ্ঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আগে গুম করা হয়েছে তারপর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। তাদের লাশটা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আজকে স্বজনদের আর্তনাদ শুনতে হয়। তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশে নজির রয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা অপরাধ করলে তাদের অপরাধ ক্ষমা করে দেওয়ার। আর এখানে তাদের বিচার করার আগেই ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।

জিয়ার মরণোত্তর বিচার দাবি করে মোজাম্মেল হক বলেন, সাধারণত মৃত ব্যক্তিদের বিচার হয় না। তবে গণদাবিতে অনেক কিছুই হয়। আইনের বাইরেও অনেক কিছু করতে হয়। গণমানুষের প্রয়োজনে আইনের ব্যত্যয়ও ঘটে। পৃথিবীতে মরণোত্তর বিচারের নজির আছে। বহু দেশে মরণোত্তর বিচার হয়েছে। সেই দায়িত্ববোধ থেকে জিয়ার মরণোত্তর বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয় ও জরুরি। এটা করা কোনো বেআইনিও হবে না। ১৯৭৭ সালের সামরিক আদালতে বিচারের ভুক্তভোগী সার্জেন্ট আবুল বাসার খানের মেয়ে বিলকিস বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ বীরবিক্রম, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক লে. কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির বীরপ্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকসহ ১৯৭৭ সালে ‘গণফাঁসি’ ও ‘গণগুমের’ শিকার সেনা ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সন্তানরা।

সর্বশেষ খবর