সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

ব্রিটিশরা অর্থ গুনছে আমরা গুনছি লাশ

প্রতিদিন ডেস্ক

ব্রিটিশরা অর্থ গুনছে আমরা গুনছি লাশ

ব্রিটিশরা অর্থ গুনছে আমরা গুনছি লাশ, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কি। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। বিবিসির সাংবাদিক লরা কুয়েনসবার্গকে ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি গত রবিবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কঠিন অর্থনৈতিক প্রভাব মিত্র দেশগুলোর ওপর পড়েছে। তবে মানবিক ক্ষতির বিষয়টিকেই বেশি প্রকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে মনে করেন তিনি। তার মন্তব্য, এই যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জোরালো হলে সংকট ক্ষণস্থায়ী হবে। কিয়েভে রেকর্ড হওয়া সাক্ষাৎকারে এ ফার্স্ট লেডি জানান, যুদ্ধের মানবিক ক্ষয়ক্ষতির কথা তুলে ধরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জেলেনস্কি জানান, তার সঙ্গে তার স্বামীর কালেভদ্রে দেখা হলেও প্রতিদিনই কথা হয়। ২০০৩ সালে ভলদোমির জেলেনস্কির সঙ্গে বিয়ে হয় ওলেনা জেলেনস্কির।

রবিবার সম্প্রচারিত হতে যাওয়া ওই অনুষ্ঠানে জেলেনস্কির কাছে জ্বালানি-বিদ্যুতের খরচ বেড়ে যাওয়া ব্রিটিশ নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তার বার্তা কী, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা এবং মস্কোর নানান পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপীই জ্বালানি ও গ্যাসের দামে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। ‘আমি বুঝি যে পরিস্থিতি খুবই খারাপ। কিন্তু আমি মনে করিয়ে দিতে চাই কভিড-১৯ মহামারীর কথা, মহামারী এখনো আছে, এর কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছিল, ইউক্রেনেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।’ ইউক্রেনের ফার্স্ট লেডি, ‘জিনিসপত্রের দাম ইউক্রেনেও চড়ছে। কিন্তু এর সঙ্গে আমাদের লোকজন মরছেও। তাই যখন আপনারা ব্যাংক হিসাব বা পকেটের টাকা গোনা শুরু করছেন বা হিসাব কষছেন, আমরাও একই কাজ করছি এবং সঙ্গে হতাহতের সংখ্যা গুনছি।’ তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে বিশ্বে গ্যাস ও তেলের দাম বেড়েছে। ব্রিটিশদের জ্বালানির জন্য অধিক অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।

চলতি বছর যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি ৪২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে; দেশটির অর্থনীতিও অনেকখানি সংকুচিত হবে। মূল্যস্ফীতির এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ও নিম্ন প্রবৃদ্ধির মূল কারণ হচ্ছে জ্বালানি-বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং ইউক্রেইনে রাশিয়ার অভিযান তাতে হাওয়া দিয়েছে, বলেছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের পাল্টায় মস্কোর ওপর ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জ্বালানি সরবরাহকারী রাশিয়া গ্যাসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ ইউরোপীয় দেশগুলোর। রাশিয়ার গ্যাসের সরবরাহ কমে যাওয়াতেই ইউরোপজুড়ে জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম হু হু করে বাড়ছে।

সর্বশেষ খবর