ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে অনুষ্ঠিত গণভোটে জনগণ রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হওয়ার প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন ঘোষণা করেছে। রাশিয়া অধিকৃত পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ায় কয়েকদিন ধরে এ গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। সূত্র : পার্স টুডে, স্পুটনিক, রয়টার্স
খেরসনে মস্কো-নিয়ন্ত্রিত আঞ্চলিক প্রশাসন ঘোষণা করেছে, সব ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে ৮৭.০৫ ভাগ ভোটার রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। লুহানস্কর সব ভোট গণনা শেষে ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানকার ৯৮ ভাগ মানুষ রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হতে চায়। দোনেৎস্ক অঞ্চলে মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৮২ ভাগ ভোট গণনা করা হয় এবং গণনাকৃত ভোটে ওই অঞ্চলের ৯৯.০৬ ভাগ ভোটার রাশিয়ায় যুক্ত হওয়ার পক্ষে তাদের রায় প্রদান করেছেন। অন্যদিকে জাপোরিঝঝিয়ায় শতভাগ ভোট গণনা শেষে ৯৩.১১ ভাগ ভোটার জানিয়েছেন তারা ইউক্রেন ছেড়ে রাশিয়ায় যুক্ত হতে চান। এদিকে দোনেৎস্ক অঞ্চলের রুশ-সমর্থিত প্রশাসনের প্রধান ডেনিস পুশিলিন বলেছেন, এখন রাশিয়ার পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে অনুমোদনের পর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ডিক্রি জারি করে এ চার অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করে নেবেন। ২০১৪ সালে একই প্রক্রিয়ায় ইউক্রেনের সাবেক ক্রিমিয়া প্রজাতন্ত্র রাশিয়ায় যুক্ত হয়। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিমিত্রি মেদভেদেভ ইউক্রেনের চার প্রজাতন্ত্রের গণভোটের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পরপরই এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘নিজেদের দেশে আপনাদের স্বাগত!’ অন্যদিকে ইউক্রেনের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর রুশ অধিকৃত ওই চার অঞ্চলের মূল অধিবাসীর শতকরা ৮০ ভাগ ঘরবাড়ি ছেড়ে ইউক্রেনের অন্যান্য অঞ্চলে চলে গেছে। ফলে শুক্র থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অনুষ্ঠিত গণভোটে এসব অঞ্চলের মূল অধিবাসীদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়নি।
