শিরোনাম
শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, নির্বাচনের জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব এককভাবে নির্বাচন কমিশনের নয়। এ ক্ষেত্রে সরকার, গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক দলকেও ভূমিকা রাখতে হবে। এসব মিলিয়েই নির্বাচনের পরিবেশ চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এ পরিস্থিতি দেখার জন্য পুরো বিশ্ব অপেক্ষা করছে। গতকাল ঢাকার একটি হোটেলে ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসাডর’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে না বলেও মন্তব্য করেন। বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ও জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটাং আয়োজিত অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, নির্বাচন শুধু একটি দিনের ঘটনা নয়। বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছভাবে হবে কি না তা নির্ভর করছে বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপরে। কারণ রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করতে পারছে কি না, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজ তাদের মতপ্রকাশের সুযোগ পাচ্ছে কি না তার ওপর নির্ভর করছে এটি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক সহিংসতা চলছে তা একটি সঠিক নির্বাচনের জন্য সহায়ক নয়। নির্বাচনের আগে ও পরের ঘটনাও একটি অবাধ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অংশ, তাই বাংলাদেশের বর্তমান সহিংসতার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বিশ্ব সম্প্রদায় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

পিটার হাস বলেন, জবাবদিহির আওতায় না আসা পর্যন্ত র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। নিষেধাজ্ঞাগুলো শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়, বরং আচরণ পরিবর্তন ও তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য। পিটার হাস বলেন, গত বছর ডিসেম্বরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। এটা খুব ভালো সংকেত। আমরা আশা করছি র?্যাবের আচরণের পরিবর্তন হবে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক কৌশলে (আইপিএস) বাংলাদেশের যোগ দেওয়া-না দেওয়াটা কোনো বিষয় নয়। এটা একটি নীতি। এটা বাংলাদেশ কীভাবে নেয় সেটাই দেখার বিষয়। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে (বিআরআই) যোগ দেওয়াটা বাংলাদেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ কোন জোটে যোগ দেবে সেটা তাদের বিষয়।

সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, সাবেক রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

সর্বশেষ খবর