শনিবার, ১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা
হাতিয়ায় গোলাগুলির ঘটনা

তিন দস্যুর লাশ উদ্ধার, থানায় মামলা দায়ের

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ঘাসিয়ার চরে দুই জলদস্যু গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির ঘটনায় হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার ডাকাতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে গতকাল তিন দস্যুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা হলেন- ‘ফখরুল বাহিনী’র সদস্য           সুবর্ণচর উপজেলার চর জিয়াউদ্দিনের আবুল হোসেনের ছেলে মো. কবির হোসেন, হাতিয়ার চর ঘাসিয়ার আবদুল কাইউমের ছেলে মো. শাহরাজ ও রামগতি উপজেলার আবদুল্লাপুর গ্রামের আবদুলের ছেলে নবীর উদ্দীন প্রকাশ নূরনবী। গোলাগোলির ঘটনায় কোস্টগার্ড ও পুলিশ মোট ছয় দস্যুকে গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় গতকাল দুপুরে কোস্টগার্ড হাতিয়া স্টেশন কমান্ডার বাবুল আক্তার বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে বুধবার ভোররাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জলদস্যু ফোকরা ও ফখরুল বাহিনীর মধ্যে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে ‘ফখরুল বাহিনী’র তিন সদস্য নিহত হন। আরও কয়েকজন আহত হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের মিডিয়া কর্মকর্তা শফিউল কিঞ্জল জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঘাসিয়ার চরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে জলদস্যু ‘খোকনের বাহিনী’। কিছুদিন আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন খোকন। তখন চরের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আরেক জলদস্যু ফখরুল ইসলামের হাতে। সম্প্রতি খোকন জামিনে বেরিয়ে পুনরায় চরের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে ফখরুলের লোকজনের সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জেরে ভোর রাতের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন তিনটি আভিযানিক দল চর ঘাসিয়ায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ডাকাত দল কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে নৌকাযোগে পালানোর চেষ্টা করে। কোস্টগার্ডের দ্রুত গতি সম্পন্ন বোট নিয়ে আভিযানিক দল তাদের পিছু ধাওয়া করে। একপর্যায়ে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার মেঘনা নদীর চর আবদুল্লাহ থেকে ডাকাত দলকে তিনটি এক নলা বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা গোলা, ছয়টি রামদা এবং পাঁচটি বল্লমসহ কুখ্যাত ডাকাত ‘খোকন বাহিনী’র অন্যতম পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

সর্বশেষ খবর