ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, প্রয়োজনে সেতু ভবন ভাঙতে হবে। তিনি বলেন, এয়ারপোর্ট সড়কে বনানী চেয়ারম্যান বাড়ির সামনে সিটি ফরেস্ট ছিল, সেটা ধ্বংস করে কেন সেতু ভবন করা হয়েছে? মেয়র গতকাল নগর কথা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ভাষণ দিচ্ছিলেন। ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সেতু ভবনের পাশে আবার বিআরটিএ ভবন করা হয়েছে। কিছুদিন আগে আবারও গাছপালা কেটে ভবন নির্মাণ করতে গেলে আমি বন্ধ করে দেই। ড্যাপের মধ্যে এবং নগর পরিকল্পনার এই জায়গাগুলোতে যদি সিটি ফরেস্ট থাকে তাহলে ভবন ভাঙতে হবে। নগরের প্রয়োজনে, জনগনের স্বার্থে এসব ভবন ভাঙতে হবে। রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ, ইউএন-হ্যাবিট্যাট এবং ডিএনসিসির প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প সম্মিলিত আয়োজিত ‘নিম্ন আয়ের মানুষের আবাসন ও নাগরিক সুবিধাসমূহ : প্রেক্ষিত ঢাকা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘যে কোনো কাজ দেশের স্বার্থে ও দশের স্বার্থে হলে আমি আপনাদের সঙ্গে যোগ দেব। যদি নিজের স্বার্থে হয় তাহলে আমি আপনাদের সঙ্গে নাই। সুন্দর নগরায়ণ করতে গেলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। মিরপুর প্যারিস রোড-সংলগ্ন মাঠটি প্লট আকারে কীভাবে বরাদ্দ দেওয়া হলো? ষাটের দশকে মাস্টার প্লানে ও ১৯৮৭ সালের ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটির লেআউটেও এটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে দেখানো আছে। ড্যাপের নকশায়ও এটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে রয়েছে। এখানে কিছুতেই প্লট হতে পারে না।’ এ সময় তি?নি বর্তমান জলবায়ুর উদাহরণ টে?নে ব?লেন, আমরা প?রি?বেশ ধ্বংস ক?রে?ছি। এখন পরিবেশ সেই ধ্বং?সের প্রতি?শোধ নিচ্ছে।