শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

দক্ষিণ আফ্রিকা পাত্তাই দিল না টাইগারদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দক্ষিণ আফ্রিকা পাত্তাই দিল না টাইগারদের

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কাছে অপরিচিত ক্রিকেটার নন রিলি রুশো। পরিচিত মুখ। বিপিএলে তিনটি আসর খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁ হাতি ব্যাটার। ব্যাট হাতে রান বন্যায় ভাসিয়েছেন আসর। আফ্রিকান ব্যাটার খুব ভালো করেই চিনেন ও জানেন সাকিব, তাসকিন, লিটন, মুস্তাফিজদের শক্তি। বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছেন ১৭৪ বছরের পুরনো সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বিশ্বকাপের চলতি আসরে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে এলোমেলো করে দেন সাকিব বাহিনীকে। দিনের প্রথম ম্যাচে কুইন্টন ডি কককে নিয়ে রুশো সুপার টুয়েলভে পাত্তাই দেননি টাইগারদের। প্রোটিয়াস দলের আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের মুখে ছন্নছাড়া ক্রিকেট খেলে সাকিব বাহিনী হেরেছে ১০৪ রানের পর্বতসমান ব্যবধানে। আসরে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৯ রানে জিতেছিল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আফ্রিকার প্রথম ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। পাহাড়সমান ব্যবধানে হারের পর টাইগার অধিনায়ক সাকিব হতাশা ব্যক্ত করেন, ‘বারবার উন্নতি করার কথা বলতেও ভালো লাগে না।’

সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই প্রথম খেলেছে বাংলাদেশ। ১৮৪৮ সালে স্থাপিত স্টেডিয়ামে গতকাল খেললেও মূল ড্রেসিং রুমে বসতে পারেনি সাকিব বাহিনী। পুরো খেলায় সাকিবরা বসেছে রাগবী খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুমে। কারণ, সিডনির ডেসিং রুম বরাদ্ধ ছিল দিনে দ্বিতীয় ম্যাচ ভারত ও নেদারল্যান্ডসের জন্য। পেসার নর্টজের সুইং ও গতিতে বেসামাল হয়ে পড়ে টাইগার ব্যাটিং লাইন। তাকে সহায়তা করেন বাঁ হাতি চায়নাম্যান বোলার শামসি তাবরিজ। নর্টজে ৪ উইকেট এবং তাবারেজ নিয়েছেন ৩ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ উইকেটে ২০৫ রানের জবাবে ১৬.৩ ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ব্যাটারদের ছন্দহীন ব্যাটিংয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন লিটন দাস। এছাড়া সৌম্য সরকার ৬ বলে ২ ছক্কায় ১৫, মেহেদী হাসান মিরাজ ১১ ও তাসকিন আহমেদ ১০ রান করেন। অধিনায়ক সাকিব ১ রান করেন। ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে সাজঘরে ফেরেন প্রোটিয়াস অধিনায়ক টেম্বা ভাবুমা। এরপর রুশো ও ডি কক দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৩.৩ ওভারে ১৬৮ রান যোগ করেন। ডি কক ৬৩ রান করেন ৩৮ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। রুশো তার ২৩ ম্যাচ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির ১০৯ রানের ইনিংসটি খেলেন ৫৬ বলে ৭ চার ও ৮ ছক্কায়। ম্যাচ হারের পর টাইগার অধিনায়ক সাকিব বলেন, ‘সিডনিতে উইকেট খুব ভালো ছিল। আমরা আরও অনেক ভালো ব্যাটিং করতে পারতাম। আমি ব্যক্তিগতভাবে হতাশ। কারণ, এখানে ভালো ব্যাটিংয়ের সুযোগ ছিল। এমন না যে আমরা ২০০  চেজই করে ফেলতাম। কিন্তু আমাদের অনেক ভালো শুরু ছিল। আমি নিশ্চিত সবাই প্রথম দুই ওভার দেখার পর ভেবেছে, না কিছু একটা হতে পারে। আমাদের এই জায়গাগুলোতে আসলে উন্নতির জায়গাগুলো অনেক বেশি। যদিও বারবার উন্নতি করার কথা বলতে আমার ভালো লাগে না। টি-২০ ম্যাচ আসলে এমন।’ বাংলাদেশের তৃতীয় ম্যাচ ৩০ অক্টোবর জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর