শুক্রবার, ১১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

দেশকে একটা মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসেছি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশকে একটা মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসেছি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে এসেছি। মর্যাদা বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় গত ১৪ বছরে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কম্বল ও শীতবস্ত্র গ্রহণকালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের যে সম্মানটা আজ আন্তর্জাতিকভাবে আছে এটা যেন অব্যাহত থাকে। আমরা যে বাংলাদেশটাকে একটা সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে এসেছি এটা ধরেই যেন এগিয়ে যেতে পারি। করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথাও প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, যা-ই হোক, যতটুকু অর্জন আমি মনে করি এটা আপনাদের সবারই অবদান। বাংলাদেশের জনগণের অবদান। আমি তাদেরই ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে অনেক দিন তো হয়ে গেল। মানুষকে তো একসময় বিদায় নিতেই হবে, এটা তো আল্লাহই বলে দিয়েছেন। সেটাও আল্লাহর ইচ্ছা। যেদিন যেতে হয় চলে যাব। এখান থেকেও, এই চেয়ার থেকেও চলে যাব, আবার জীবন থেকেও চলে যাব। যেতেই হবে। এটা হলো বাস্তবতা। যেদিন যাওয়ার সময় হবে। আর সময় না হলে ততদিন তো কাজ করতেই হবে। আল্লাহ যতক্ষণ সুযোগ দিয়েছেন।

ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি রাখছে না : জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য দায়ী ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করছে না বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রবিষয়ক কমিশনার ইয়ালভা জোহানসনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রাখছে না। ২০০৯ সালে বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। প্রতিশ্রুতি এখনো পূরণ করা হয়নি। নিজস্ব ফান্ড থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সারা দেশে ব্যাপক বৃক্ষরোপণের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশনার বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিযে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে কিছু মানুষ ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করে। আমাদের জনশক্তি প্রয়োজন। যদি বাংলাদেশ থেকে বৈধ পথে আসে তাহলে উভয়ের জন্য লাভজনক হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

সর্বশেষ খবর