বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

নতুন তফসিল হবে গাইবান্ধায়

অপরাধের মাত্রা দেখে শাস্তি, করা হবে তিরস্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনিয়মের কারণে বন্ধ হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। আগামী বছরের ২০ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১২ অক্টোবর এ উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ায় পুরো নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আসনটি শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সংবিধানের ১২৩ (৪) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা ছিল। এ সময়সীমা গত ২০ অক্টোবর শেষ হয়েছে।

এদিকে গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে। অপরাধের মাত্রা দেখে এ শাস্তি দেবে নির্বাচন কমিশন। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে বিভাগীয় ব্যবস্থা হতে পারে। কাউকে শোকজ করা হতে পারে। আবার কাউকে শুধু তিরস্কার করে ক্ষমা করা হতে পারে। যদিও কমিশন বলছে তিরস্কারও শাস্তি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে অনিয়ম ও ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে ইসি সিদ্ধান্ত নেবে। গাইবান্ধা-৫ আসনের অনিয়ম তদন্তের সর্বশেষ প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আনিছুর রহমান বলেন, পরশু প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এখনো আমরা দেখিনি। আগেরটি দেখেছি, পড়েছি। মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ হয়েছিল। আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি পরের তদন্তে তারা বেশকিছু অনিয়ম পেয়েছেন। কোনো কোনো কেন্দ্রের সিসিটিভি ডিজকানেক্ট করা হয়েছে। ১৭টি বা কোনো একটি সংখ্যা এরকম হয়েছে বলে আমি শুনেছি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে অনিয়ম ও ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে ইসির সিদ্ধান্ত জানা যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনিয়মে ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে। কার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে কী হবে..। সবাই তো একই অপরাধে অপরাধী হবেন না। অপরাধের মাত্রা ভিন্ন হবে, সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্তও প্রত্যেকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন হবে। গাইবান্ধায় কি নতুন করে নির্বাচন হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, হ্যাঁ। আবার শিডিউল দিতে হবে। আবার শিডিউল দিতে হবে এটার। তিনি বলেন, প্রার্থীদের এজেন্টের অনিয়ম তো আমরা দেখেছি। বুথে ঢুকেছে। কোথাও কোথাও বাটন টিপে দিয়েছে। এগুলো দেখেছি। এগুলো তো একেবারেই অসত্য নয়। আর আইনে প্রার্থীদের লোক করা মানে তো প্রার্থীর করা। প্রার্থীর এজেন্ট মানেই প্রার্থী। একই তো কথা। প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের অপরাধ প্রার্থীর ওপর বর্তায়। অনিয়মে জড়িতদের শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কারও প্রতি অন্যায় বিচার হবে না। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিরস্কার করাটাও কিন্তু শাস্তি। কারও ক্ষেত্রে হয়তো সেটা হতে পারে। কারও ক্ষেত্রে দন্ডের কথা বলা হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে আমরা সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারি। সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নিতে হবে আমাদের মাঠ প্রশাসনকে সেই নির্দেশ দিতে পারি। আবার কিছু ক্ষেত্রে তাদের নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে বলতে হবে। তাদের প্রশাসন আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। কারও ক্ষেত্রে বিভাগীয় ব্যবস্থা হতে পারে। কারও শোকজ হতে পারে।

সর্বশেষ খবর