প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দুর্নীতি এমন একটি ক্যান্সার যা গণতন্ত্রকে নষ্ট করে, দেশকে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, রাষ্ট্রের ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়। জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গের প্রতি জনগণের আস্থা দূঢ় করতে সবাইকে সামান্যতম দুর্নীতি থেকেও দূরে থাকতে হবে। সামান্য দুর্নীতিও আস্থার জায়গা ধ্বংস করে দেয়। আগামী প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত একটি রাষ্ট্র উপহার দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পতাকাবাহীদের জন্য একটি দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্রযন্ত্র রেখে যাই, যাতে তারা আরও উজ্জ্বল আলোয় প্রজ্বলিত হয়। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের সংবিধানের ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে এ বছর। এ সংবিধানের ধারক ও বাহক হিসেবে দেশের সব আইন ও সব আইনগত কার্যক্রমে সাংবিধানিক চেতনার প্রতিফলন নিশ্চিত করার সুমহান দায়িত্ব বিচার বিভাগের। একটি শক্তিশালী বিচার বিভাগ বাংলার মানুষের আজন্ম লালিত স্বপ্ন বলে জানান তিনি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আরও বক্তব্য দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন প্রমুখ। নিজের বক্তবে আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তারা এবং তাদের বংশধররা চান বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, সেটার বাস্তবায়ন না হোক। তারা চান, এ দেশের মানুষ আবার তাদের প্রজা হয়ে থাক। তিনি বলেন, খুনিরা সামরিক শাসনের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে এ দেশের মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অবিচ্ছেদ্য। তাই এ দুটোকে যেমন বিচ্ছিন্ন করে ফেলা যাবে না, তেমনি ভোলাও যাবে না।