সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা
জার্মানি ১ ১ স্পেন

বেঁচে থাকল জার্মানির স্বপ্ন

দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের ম্যাচে জেতেনি কেউ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বেঁচে থাকল জার্মানির স্বপ্ন

গোল করার পর নিকোলাস ফুলক্রুগকে নিয়ে সতীর্থদের উল্লাস - এএফপি

স্পেনের সমীকরণটা ছিল খুবই সহজ। জিতলেই শেষ ১৬ নিশ্চিত। টানা দুই হারে বিদায়ের পথে হাঁটতে শুরু করত জার্মানি। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানির সমীকরণ ছিল খুবই কঠিন। অনেকটাই বরফ শীতল আল্পস পর্বত ডিঙানোর মতো! বিশ্বকাপে টিকে থাকতে কোনোভাবেই হারা যাবে না হ্যানসি ফ্লিকের দলকে। জিতলে শক্তভাবে টিকে থাকবে। ড্র করলে টানেলের শেষ প্রান্তে আলো দেখার মতো আশা টিকে থাকবে।

দুই দলের এমন সমীকরণের ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত কোনো দলই জেতেনি। ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। বিশ্ব ফুটবলের দুই পরাশক্তির লড়াইয়ের প্রথমার্ধ ছিল ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের। দ্বিতীয়ার্ধ ছিল চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির। এই ড্রয়ে ‘ই’ গ্রুপে স্পেনের পয়েন্ট ২ ম্যাচে ৪। জার্মানির পয়েন্ট ২ ম্যাচে ১ এবং জাপান ও কোস্টারিকার পয়েন্ট ৩ করে। স্পেনের পরের ম্যাচ ২ ডিসেম্বর জাপান এবং জার্মানির পরের ম্যাচ ১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টায়। গ্রুপের শেষ রাউন্ডের ম্যাচেই নিশ্চিত হবে নকআউট পর্ব। দুই দল এখন পর্যন্ত ২৬ বার মুখোমুখি হয়েছে। জার্মানির জয় ৯, স্পেনের জয় ৮ এবং ড্র ৯। বিশ্বকাপে জার্মানির দুই জয়ের বিপরীতে স্পেন একবার জিতেছে। ড্র হয়েছে দুবার। জিততেই হবে- এমন সমীকরণে দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণভাগকে শক্ত করে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটে ২-৩টি গোলের সুযোগ সষ্টি করে হ্যানসি ফ্লিকের দল। কিন্তু কাজের কাজটি করতে পারেনি। উল্টো ৬২ মিনিটে গোল খেয়ে বসে জার্মানি। দুর্দান্ত ওয়াল ফুটবল খেলে গোল করে বসে লুইস এনরিকের স্পেন। বাঁ-প্রান্ত থেকে জর্দি আলভার ক্রসে ডান পায়ের কিকে ব্যবধান ১-০ করেন আলবার্তো মোরাতা। চলতি বিশ্বকাপে এটি তার দ্বিতীয় গোল। কোস্টারিকার বিপক্ষে ৭-০ গোলের সহজ জয়ের ম্যাচে একটি গোল করেছিলেন তিনি। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। অবশেষে ৮৩ মিনিটে সমতায় ফেরে জার্মানি। পরিবর্তিত স্ট্রাইকার ফুলক্রুগ ছোট বক্সের মাথা থেকে ডান পায়ের ভলিতে স্পেনের গোলরক্ষক সিমন্সকে পরাভূত করে ব্যবধান ১-১ করেন।    

দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নের লড়াই। জার্মান চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। স্পেন একবারের। দুই হেভিওয়েট ফুটবল শক্তির প্রথমার্ধের নায়ক ছিল ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিসটেন্স রেফারি)। প্রথমার্ধে গোল হতে পারত কয়েকটি। একটি গোল হয়েছিলও। কিন্তু ভিএআর দেখে রেফারি বাতিল করে দেন গোল। ফলে গোল পেয়েও এগিয়ে যাওয়া হয়নি ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৮২ ও ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির। ৪১ মিনিটে ফ্রি কিকে হেডে গোল করেন অ্যন্টোনিও রুডিগার। রেফারি বাঁশি বাজান গোলের। মিনিটখানেক পর ভিএআর পদ্ধতি জানায় হেডের আগে রুডিগার অফসাইড ছিলেন। বিপরীতে দুর্ভাগ্য ২০১০ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের। বক্সের মাথা থেকে দানি অলমোর ডান পায়ের দুর্দান্ত কিক ঝাঁপিয়ে ফিস্ট করেন ম্যানুয়েল নিউয়্যার। কিন্তু বলের গতি থাকায় বল হাতে লেগে ক্রস পিঠে লাগে। নিশ্চিত গোলবঞ্চিত হয় স্পেন। প্রথমার্ধে দুই দলের খেলায় আক্রমণ বলতে এ দুটিই উল্লেখযোগ্য। অবশ্য প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণে ছিল ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নরা। ৬৮ শতাংশ বল পায়ে রেখেছিলেন অলমো, গাভি, ফারনানরা।

 গোল পোস্ট লক্ষ্য করে স্পেনের ৪ শটের বিপরীতে জার্মানির ছিল ৩টি। ৫টি কর্নার পায় স্পেন।   

সর্বশেষ খবর