রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পাল্টাপাল্টি হামলা বাইকে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশস্থলের কাছে মুগদা হাসপাতালের সামনে দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। যদিও বিএনপি নেতা-কর্মীদের দাবি, ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মুগদা ফুটওভার ব্রিজের নিচে মোটরসাইকেল দুটি রাখা ছিল। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেলা ২টার একটু পরে মোটরসাইকেল দুটিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। আড়াইটার দিকে আগুনের খবর পেলেও ফায়ার সার্ভিসের কোনো ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়নি। এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান। তবে গোলাপবাগ মাঠের চারপাশের সড়কে বিএনপি নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও মাঠে অবস্থান করছিলেন। বিএনপির সমাবেশস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে সবুজবাগ থানার সবুজকানন এলাকার ওভারব্রিজের নিচে বেলা আড়াইটার দিকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ছিল। ওই শোভাযাত্রার দুটি মোটরসাইকেল পোড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। তারা বলছেন, ঢাকার বাইরে থেকে সমাবেশে আসা বিএনপি কর্মীরা অগ্নিসংযোগ করে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় দোকানদার সবুজ ও সুমন আহমেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেলা আড়াইটার সময় সবুজবাগ থানা আওয়ামী ও যুবলীগের নেতারা সবুজকানন এলাকার অতীশ দীপঙ্কর সড়কে কয়েকবার বাইক শোডাউন করে এবং সেøাগান দিতে থাকেন। এ সময় একদল লোক তাদের ধাওয়া করে সবুজকানন ফুটওভার ব্রিজের নিচে আসে। ধাওয়া খেয়ে এলোমেলো হয়ে যায় বাইক শোডাউন এবং দুটি বাইক পড়ে যায়। একা পেয়ে বাইক দুটিতে আগুন দিয়ে তাদের দুজনকে মারধর করা হয়। আহত দুজন মুগদা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের একজন যুবলীগ কর্মী মাসুম ওরফে জগত। সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি আশরাফুজ্জামান ফরিদ বলেন, ‘আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে কর্মীদের মারধর করেছে। দুটি বাইকে অগ্নিসংযোগ করেছে। আমাদের একজন যুবলীগ কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, শুনেছি মুগদা হাসপাতাল এলাকায় ছাত্রলীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। মোটরসাইকেলে কারা আগুন দিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে ঢাবি ক্যাম্পাসের অন্যতম প্রবেশমুখ নীলক্ষেতের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে থেকে মুঠোফোন ঘেঁটে বিএনপি সমর্থক ১০-১২ জনকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সকালে ও দুপুরে দুই দফায় বিএনপি সমর্থক সন্দেহে ১০-১২ জনকে নীলক্ষেতের তোরণের সামনে আটক করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মারধর ও মুঠোফোন ঘাঁটার পর তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেন তারা। অভিযোগ উঠেছে, তল্লাশির নামে লোকজনকে যানবাহন থেকে নামিয়ে তাদের মুঠোফোনের ছবি, মেসেজ ঘাঁটছে পুলিশ। তবে নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাফর বলেন, মুঠোফোন তল্লাশির বিষয়টি তার জানা নেই।

সর্বশেষ খবর