মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না : শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না : শেখ হাসিনা

কেউ যেন দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন দলটির সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ এ দেশটা জাতির পিতা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। আর ভবিষ্যতে তাদের কষ্ট করতে হবে না, সবাই যেন সুন্দর একটা জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়, সমৃদ্ধিশালী জীবন পায় সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য; সেটাই করতে চাই।’

আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সম্মেলন হয়ে গেছে। আবার নতুন করে আমরা কমিটি করেছি। নিয়ম অনুযায়ী গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমরা আমাদের সদস্যদের নির্বাচিত করব।’ তিনি বলেন, ‘এ সংগঠনটাই আমাদের বড় শক্তি এটাও মাথায় রাখতে হবে। সংগঠন যদি শক্তিশালী থাকে আর মানুষের আস্থা বিশ্বাস যদি অর্জন করতে পারে তাহলে সরকার চালানো এবং দেশের উন্নয়ন করা কঠিন হয় না; এটা হলো বাস্তবতা। সে বাস্তবতা নিয়েই আমরা কাজ করে যাব ইনশা আল্লাহ।’ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা পুনরুল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, আমাদের যে লক্ষ্য ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ, সেটা কীভাবে করব কী কী ক্ষেত্রে করব সেটা আমি আগেও বলেছি।... অর্থাৎ আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী হবে স্মার্ট জনগোষ্ঠী, সেটাই আমরা করতে চাই।’ বাংলাদেশ সব সময় এগিয়ে থাকবে সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি, স্যাটেলাইট যুগে পদার্পণ করেছি। আগামী ২৮ তারিখ মেট্রোরেল (উদ্বোধন), এটা কিন্তু ইলেকট্রিক ট্রেন। এটাও কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে হতো না। আজকে কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পদ্মা সেতু যেটা নিয়ে আমাদের বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ ছিল; সেই চ্যালেঞ্জ আমরা নিয়েছিলাম এবং নিজেদের টাকায় করব সেই ঘোষণা দিয়েছিলাম। নিজেদের টাকায় আমরা করেছি পদ্মা সেতু নির্মাণে কারও কোনো টাকা আমরা নিইনি, সে সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি।’ করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই ধাক্কাগুলো যদি না আসত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, তাহলে আজকের বাংলাদেশ আমরা আরও অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতাম।’ বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাড়াও প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযূষকান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীরবিক্রম), অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি ও সিমিন হোসেন রিমি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করা হয়।

সর্বশেষ খবর