রবিবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাত্তারের জন্য এক টেবিলে আওয়ামী লীগ বিএনপি জাপা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সাত্তারের জন্য এক টেবিলে আওয়ামী লীগ বিএনপি জাপা

দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বদলাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনের পরিবেশ। এবার বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়াকে নির্বাচনে বিজয়ী করার লক্ষ্যে এক টেবিলে বসেছেন সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বিএনপির সাবেক ও বহিষ্কৃত নেতাসহ জাতীয় পার্টির আংশিক নেতারা। গতকাল দুপুরে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর। সমন্বয়কারী ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার। উপজেলার ছয় ইউপি চেয়ারম্যানরা অংশ নেন। বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইসমত আলী, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রোকেয়া বেগম, সাধারণ সম্পাদক ও শাহজাদাপুর ইউপির চেয়ারম্যান আছমা আক্তার, শাহবাজপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খাইরুল হুদা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাহেদ মিয়া বাবুল, পানিশ্বর ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, কালীকচ্ছ ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি ছায়েদ হোসেন, পাকশিমুল ইউপির চেয়ারম্যান কাউছার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বহিষ্কৃত সাদেকুর রহমান, সাবেক সদস্য বহিষ্কৃত এম কামাল, সরাইল সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. কায়কোবাদ, সদস্যসচিব বিল্লাল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ইশবাল হোসেন, সদর ইউপি সদস্য ছাদেক মিয়া প্রমুখ। সভায় রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। একজন আরেকজনের ভোট দিতে পারবে না। কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে হবে। সবাই নিজ নিজ এলাকার ভোটারকে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকার জন্য কাজ করতে হবে। সাত্তারকে বিজয়ী করতে হলে কমপক্ষে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত করতে হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন বলেন, এ আসনে দলীয় প্রার্থী নেই। তিনি আগে ভিন্ন দল করতেন। প্রবীণ রাজনীতিবিদ, সৎ ব্যক্তি হিসেবে তাঁর নির্বাচন তো আমরা করতেই পারি। উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন। এ আসনটি উন্মুক্ত রেখেছে আওয়ামী লীগ। উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী এ আসনের পাঁচবারের সাবেক এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া কলারছড়ি প্রতীক, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ মটর গাড়ি (কার) প্রতীক, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবদুল হামিদ ভাসানী লাঙল প্রতীক ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল গোলাপ ফুল প্রতীক। উকিল আবদুস সাত্তার দলীয় সিদ্ধান্তে গত ১১ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। উপনির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগের তিনজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। পরে তারা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

সর্বশেষ খবর