সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
হাই কোর্টের মন্তব্য

র‌্যাগিং রোধে নীতিমালা থাকলে ইবির ঘটনা নাও ঘটতে পারত

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং বা র‌্যাগিং রোধে নীতিমালা থাকলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হলের ঘটনা নাও ঘটতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন হাই কোর্ট। গতকাল বুলিং রোধে পঞ্চম দফায় নীতিমালার খসড়া দাখিলের পর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট এমন মন্তব্য করেন। নীতিমালার বিষয়ে পরবর্তী অগ্রগতি জানাতে আগামী ৮ মে দিন ঠিক করেছেন আদালত। ‘মোটা বলে সহপাঠী ও শিক্ষকের লাঞ্ছনার শিকার মৃত কিশোরের পরিবার যা বলছে’ শিরোনামে ২০২১ সালের ৮ জুলাই বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ বিষয়ে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ ওই বছরের ১৬ আগস্ট রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ২২ আগস্ট হাই কোর্ট রুল দেন। রুলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘বুলিং’ রোধে নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং বিদ্যালয়ে বুলিং রোধে নীতিমালা বা গাইডলাইন তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। অন্যদিকে ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে পরদিন ‘অপমানের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের চার আইনজীবী। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সেদিন হাই কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দেন। পৃথক রুল একসঙ্গে শুনানির জন্য আদালতে ওঠে। আদালতে অরিত্রীর পক্ষে আইনজীবী অনীক আর হক, রিটের পক্ষে আইনজীবী তানভীর আহমেদ শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে খসড়া নীতিমালাটি দাখিল করা হয় বলে জানিয়েছেন তুষার কান্তি রায়। তিনি বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে কথা বলে নীতিমালার পরবর্তী অগ্রগতি জানাতে ৮ মে দিন ধার্য রেখেছেন আদালত। পরে আইনজীবী অনীক আর হক জানান, পঞ্চম দফায় নীতিমালা দাখিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। নীতিমালার ওপর আবেদনকারী পক্ষ থেকে মতামত তুলে ধরা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর