বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিমানবন্দরে ল্যান্ডমার্ক আন্ডারপাস

প্রতিদিন ডেস্ক

বিমানবন্দরে ল্যান্ডমার্ক আন্ডারপাস

যাত্রীদের চলাচল সহজ করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (এইচএসআইএ), বিমানবন্দর রেলস্টেশন, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) ও হাজি ক্যাম্পকে যুক্ত করে একটি ‘আন্ডারপাস’ নির্মাণ করা হচ্ছে। ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস’ নামে ১ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ এ প্রকল্পটি গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে উপস্থাপন করা হয়। প্রকল্পটির নকশা ও অন্যান্য দিক দেখে প্রধানমন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি যেমনটি চেয়েছি, তার সবই এখানে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তা হবে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। বিশেষজ্ঞরা এটাকে দেশের জন্য একটা ল্যান্ডমার্ক হিসেবে অভিহিত করছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই এলাকাগুলোয় যানজট ও সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে। মানুষ ট্রেন থেকে নেমেই বিমানে উঠতে পারবে। পাশাপাশি পরিবেশও আরও ভালো হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১ হাজার ১৮৩ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৭০ মিটার দীর্ঘ এ আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে আর্মি সদর দফতরের ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।

এ আন্ডারপাসটিতে এস্কেলেটর, এলিভেটর এবং এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম, প্রাকৃতিক আলো, ভেন্টিলেশনসহ (বায়ু চলাচল) বিমানবন্দরের মতো মালামাল পরিবহনের জন্য বগি চলাচলের সুবিধাও থাকবে। এতে আটটি বহির্গমন ও প্রবেশপথ থাকবে। আন্ডারপাসের ভিতরে ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।

বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ ছাড়া গণভবনে ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের অগ্রগতিবিষয়ক উপস্থাপনা অবলোকনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামীতে বাংলাদেশ হবে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন গেটওয়ে, পূর্ব ও পশ্চিমের দেশগুলোর যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কক্সবাজার বিমানবন্দর। বিমানের রিফুয়েলিংয়ের জন্য এখন যেমন সবাই দুবাইকে গেটওয়ে হিসেবে ব্যবহার করে, সে রকম কক্সবাজার গেটওয়ে হিসেবে পরিণত হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক রুটে রিফুয়েলিংয়ের জন্য কক্সবাজার কম দূরত্বের মধ্যে পড়বে, ঘুরে যেতে হবে না। সরাসরি কক্সবাজার থেকে তারা এ সুবিধা নিতে পারবে। আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো রিফুয়েলিংয়ের জন্য কক্সবাজার এলে দেশের আয় বাড়বে। তৃতীয় টার্মিনাল বিমানবন্দরে সবকিছু ডিজিটালি পরিচালিত হবে, যাতে অতি দ্রুত ও সহজে মানুষ আন্তর্জাতিক মানের সেবা পেতে পারে। এজন্য বিমানবন্দরের অপারেশন এবং মেইনটেইন্যান্স একটি বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হবে। ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের হালনাগাদ তথ্য প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল এভিয়েশন) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

সর্বশেষ খবর