শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা
ভি-ডেমের প্রতিবেদন

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির অবনতি

প্রতিদিন ডেস্ক

সুইডেনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ভ্যারাইটিজ অব ডেমোক্রেসির (ভি-ডেম) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। উদার গণতান্ত্রিক সূচক ও নির্বাচনভিত্তিক গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থার অবনতি হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।

গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। ভি-ডেমের এবারের প্রতিবেদনের শিরোনাম ‘ডিফাইঅ্যান্স ইন দ্য ফেস অব অটোক্রাটাইজেশন’। সাত বছর ধরে বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা নিয়ে ‘গণতন্ত্র প্রতিবেদন’ প্রকাশ করে আসছে সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভি-ডেম ইনস্টিটিউট।

এবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদার গণতান্ত্রিক সূচকে (লিবারেল  ডেমোক্রেসি ইনডেস্ক) ১৭৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৭তম। স্কোর শূন্য দশমিক ১১। গতবারের চেয়ে স্কোর কমেছে শূন্য দশমিক ০২। প্রতিবেদনে ‘নির্বাচনভিত্তিক গণতন্ত্রের সূচকে’ (ইলেকটোরাল ডেমোক্রেসি ইনডেক্স) বাংলাদেশের অবনমন হয়েছে। সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ১৩১তম। স্কোর শূন্য দশমিক ২৮। স্কোর কমেছে প্রায় শূন্য দশমিক ০৩। লিবারেল (উদার) কম্পোনেন্ট ইনডেস্কে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫৫তম। ইগলিট্যারিয়ান (সমতা) কম্পোনেন্ট ইনডেস্কে ১৬৫তম। পার্টিসিপেটরি (অংশগ্রহণমূলক) কম্পোনেন্ট ইনডেস্কে ১৪২তম।  ডেলিবারেটিভ (সিদ্ধান্তমূলক) কম্পোনেন্ট ইনডেস্কে বাংলাদেশ ১৪৫তম অবস্থানে আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শাসনতান্ত্রিক দিক থেকে বাংলাদেশ আছে ‘নির্বাচনভিত্তিক স্বেচ্ছাতন্ত্র’ (ইলেকটোরাল অটোক্রেসি) বিভাগে। এর অর্থ হলো এ দেশে গণতন্ত্র অপস্রিয়মাণ। আর সে জায়গায় ধীরে ধীরে স্থান করে নিচ্ছে স্বেচ্ছাচারী শাসন। বাংলাদেশের অবস্থান আগের প্রতিবেদনেও এমনটাই ছিল। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতও আছে ‘নির্বাচনভিত্তিক স্বেচ্ছাতন্ত্র’ বিভাগে। ভারতের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতিরও অবনতি হয়েছে। উদার গণতান্ত্রিক সূচকে ভারতের অবস্থান ৯৭তম। নির্বাচনভিত্তিক গণতন্ত্রের সূচকে ১০৮তম। উভয় ক্ষেত্রে ভারতের অবনমন ঘটেছে। ভি-ডেমের প্রতিবেদনে উদার গণতান্ত্রিক সূচকে শীর্ষ তিন স্থানে আছে যথাক্রমে ডেনমার্ক, সুইডেন ও নরওয়ে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ স্বেচ্ছাতন্ত্রের মধ্যে ছিল। ১০ বছর আগে তা ছিল ৪৮ শতাংশ। আর বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৩ শতাংশ উদার গণতন্ত্রে বাস করে। উদার গণতান্ত্রিক দেশের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩২। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৩৫টি দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অবনতি ঘটেছে। গণমাধ্যমের ওপর সরকারি সেন্সরশিপ  বেড়েছে ৪৭টি দেশে। সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোর ওপর সরকারি দমন-পীড়ন বেড়েছে ৩৭টি দেশে।

সর্বশেষ খবর