শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

পুরনো গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের কারণ

ইয়াসির আরাফাত খান

পুরনো গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের কারণ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ইয়াসির আরাফাত খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বদ্ধ জায়গায়, অর্থাৎ পুরনো গ্যাস লাইনের ভিতর অনেক দিন গ্যাস জমে থাকলে এক্সপ্লোসিভ মিক্সার তৈরি হয়। এই মিক্সারের ফলে বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটে। যেমন ঘটেছিল মগবাজারে। আর সাম্প্রতিক সময়ে সায়েন্স ল্যাব, ছিদ্দিকবাজারেও একই কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করি। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, প্রতিটি দুর্ঘটনার ব্যাপ্তি আলাদা হলেও ঢাকার সায়েন্স ল্যাবের কাছের ভবন, সিদ্দিকবাজারের ভবন এবং ২০২১ সালে মগবাজারের দুর্ঘটনাগুলো একই প্রকৃতির, যেখানে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনাকে বলা হয় কনফাইন্ড স্পেস এক্সপ্লোশন। বদ্ধ জায়গায় গ্যাস জমে বাতাসের সঙ্গে এক্সপ্লোসিভ মিক্সার তৈরি করলে এ ধরনের বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে ঢাকার সায়েন্স ল্যাবের কাছের ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছিল ভবনের তৃতীয় তলায়। ফলে চাপে দেয়াল ভেঙে সহজে প্রশমিত হয়েছে। সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণের কেন্দ্রস্থল ভবনের বেজমেন্টে হওয়ায় নিচে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ভবনের সিঁড়িঘর, বেজমেন্ট, ছাদ ভেঙে উড়ে এসে পাশের দেয়াল এবং ওপরতলার কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ভবনের কলামগুলো বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ধরনের ক্ষেত্রে পুরো ভবন ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তিনি বলেন, গ্যাস সংযোগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো তদারক করা উচিত। প্রথমত যেসব এলাকায় গ্যাস সংযোগ লাইনগুলো অনেক পুরাতন সেগুলো দ্রুত সংস্কার করতে হবে। কোথাও লিকেজ হলে দরজা বা জানালা খুলে দিতে হবে। তাহলে গ্যাস জমবে না। একই সঙ্গে দ্রুত লাইন সংস্কার করতে হবে। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের মতো গ্যাস জমে বদ্ধ জায়গায়। তাই ঝুঁকি আছে এমন স্থানগুলো যদি খোলা রাখা সম্ভব হয়, বা পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকে, তাহলে গ্যাস জমা হওয়ার আশঙ্কা ও বিস্ফোরণের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

 

সর্বশেষ খবর