বুধবার, ২২ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

চোখ-কান খোলা রাখবে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

চোখ-কান খোলা রাখবে দুদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেছেন, নির্বাচনের বছর বলে দুদক চোখ-কান খোলা রাখবে। আইন অনুসরণ করে আমাদের যেটুকু অংশ ওই টুকু আমরা নিরপেক্ষভাবে, প্রভাব মুক্ত হয়ে সাধ্যমতো করার চেষ্টা করব।

গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে একজন সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেছিলেন যারা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের হলফনামার বিষয়টি নজরদারি করা হবে কি না। এ প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান উল্লিখিত কথা বলেন। এ সময় দুদক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান ও মো. জহুরুল হক বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বার্ষিক প্রতিবেদনের কিছু তথ্য উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে দুদকের পরিচালক জাহিদ হোসেন জাহিদসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সোমবার রাতে বার্ষিক প্রতিবেদনটি (২০২২) রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নিতে বলেছেন। দুদক স্বচ্ছতার সঙ্গে সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছে, এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবগত করা হয়েছে। আদালতে দুর্নীতির মামলা প্রমাণে আগের বছরগুলোর তুলনায় আমরা অনেক এগিয়েছি। এফআরটি বা ফাইনাল রিপোর্ট কমেছে। মামলার সংখ্যা বাড়ছে। এ সময় বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, মামলাগুলো চলমান। আর কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি তিনি।

কমিশনার মো. জহুরুল হক বলেন, দুদক কী কাজ করেছে, রেকর্ড-পত্রেই তার প্রমাণ রয়েছে। বিশেষ করে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রকে অর্থ আদায় করে দেওয়ার মতো ভালো কাজ করেছে দুদক। কাউকে জেল খাটানোর চেয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা অনেক ভালো। দুদক সেই কাজটিই করছে। শতভাগ না হলেও দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি অনেক কমেছে। দুদক নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। সঠিক তথ্য দেয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলেন, দেশের টাকা বাইরে চলে গেছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়তো কাজ করতে পারেনি দুদক। পাচারকৃত অর্থ নিয়ে কাজ করে আরও অনেক সংস্থা। শুধু দুদকের একার কাজ নয় এটি। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য।

দুদকের ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছরে দুদকে জমা পড়ে ১৯ হাজার ৩৩৮টি অভিযোগ। এসব যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য সংস্থাটি হাতে নিয়েছে ৯০১টি, যা মোট অভিযোগের ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ ৯৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ অভিযোগই অনুসন্ধানের জন্য আমলে নিতে পারেনি দুদক। ১৯ হাজার ৩৩৮টি অভিযোগের মধ্যে ৩ হাজার ১৫২টি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে। ২০২২ সালে চার্জশিট অনুমোদন হয়েছে ২২৪টি, মামলা হয়েছে ৪০৬টি, ফাঁদ মামলা হয়েছে ৪টি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর