সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংসদে কাজী ফিরোজ রশীদ

পাত্র হিসেবে ভালো বাজার সরকারি দলের কর্মীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, আপনাদের অনেক অর্জন এই সংসদে কিন্তু আপনাদের দুর্বলতাও তো আছে। আজ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড নিয়ে একটি কমিশন গঠন করতে পারেন নাই। এর পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল সেই ষড়যন্ত্র আপনারা বের করলেন না। চরম বামপন্থি, দক্ষিণপন্থি তাদের নাম এখন উচ্চারণ করা যাবে না। কারণ, তাদের নাম এখন নৌকায় উঠে গেছে। এভাবে দেশ চলবে না। এখনো সতর্ক হোন, সামনে কিন্তু বিপদ আসছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ অধিবেশনের বৈঠকে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপিত প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। কাজী ফিরোজ রশীদ আরও বলেন, এখন যদি পাত্রীপক্ষ শোনে, পাত্র সরকারি দল করে, তাইলে কয়, আলহামদুলিল্লাহ। এর চেয়ে ভালো পাত্র আর হয় না। পাত্র হিসেবে এখন সরকারি দলের কর্মীদের বাজার ভালো। কিন্তু পাকিস্তান আমলে দেখা যেত- পাত্র যদি রাজনীতি করে, তাহলে বিয়ে দিত না। কারণ, সে কোনো চাকরি পাবে না, তাহলে সে খাওয়াবে কী? বর্তমান সরকারের আমলে বিএনপির ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ব্যবসা পেয়েছেন বলেও দাবি করেন জাপার এই এমপি। জাতীয় পার্টির এই নেতা সংসদে সরকারের শরিক বামপন্থি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা তো সহি সালামতে নৌকায় উঠে বসে আছেন। নৌকার কান্ডারি হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তাকেই নৌকা পার করতে হবে। কিন্তু আপনারা তো নিশ্চিত হয়ে বসে আছেন, পার হয়ে চলেও যাবেন আরও পাঁচ বছরের জন্য। এ সময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমি ছাত্রলীগ, যুবলীগ করেছি। কিন্তু আমি নমিনেশন পাইনি। আমার দোষ, ঘর ছেড়েছি। ঘর কি আমি ছাড়ছি? ঘর থেকে আপনারা বের করে দেবেন, আমি গাছ তলায় বসে থাকব? এই তো আমাদের নিয়তি। আজকে একটা বড় দল তারা নির্বাচনে আসবে না বলে দিয়েছে। এরপর তার মাইক বন্ধ হয়ে যায়। তিনি আর কী বলছিলেন, শোনা যায়নি। এর আগে কাজী ফিরোজ রশীদ আরও বলেন, এই যে টাকার বস্তা দিলাম। নমিনেশন দিলে পাস করব। আলহামদুলিল্লাহ। তাকে নমিনেশন দেন। ত্যাগী কর্মীদের আপনারা দিচ্ছেন না, এটা হলো আরেকটা বড় দুর্বলতা আপনাদের। তিনি বলেন, ’৭৫ সালে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি নাই, আমাদের কাছে সব ছিল, কিন্তু কোনো ডাক আমরা পাই নাই। তিনি আরও বলেন, মাঝে মাঝে বলা হয়, এবার আর লাঙ্গল দেব না নৌকা। আমি জানতে চাই, আপনারা আমাদের এত ভয় পান কেন? ভয়ের কোনো কারণ নাই। দরকার হয় সব সিট আমরা ছেড়ে দেব। তবু আপনারা শান্তভাবে দেশ চালান।

সর্বশেষ খবর