বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

জাপানে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

♦ কিশিদার সঙ্গে আজ বৈঠক ♦ সাক্ষাৎ করবেন সম্রাটের সঙ্গেও

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

জাপানে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা

জাপানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার -পিআইডি

তিন দেশ সফরের প্রথম দেশ হিসেবে গতকাল জাপান সফর শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও লাল গালিচা সংবর্ধনা। আজ তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠক করবেন। এ সময় বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে স্বাক্ষর হবে আট চুক্তি ও সমঝোতা। এর আগে শেখ হাসিনা সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট (বিজি১৪০৩) গতকাল সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, কয়েকজন মন্ত্রী, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন। ঢাকায় বিমানবন্দরে মন্ত্রিসভার সদস্যগণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, মহা-পুলিশ পরিদর্শক এবং কূটনৈতিক কোরের প্রধান প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান। পরে স্থানীয় সময় বিকালে টোকিওর হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান। বিমানবন্দরে জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইয়ামাদা কেনজি ও জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। দেওয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা। টোকিওর বিমানবন্দর থেকে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তাঁকে আকাসাকা প্রাসাদে নিয়ে যাওয়া হয়। জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী টোকিওর এই প্রাসাদেই অবস্থান করবেন।

সফরসূচি অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ স্থানীয় সময় বিকালে জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। টোকিওর সঙ্গে আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। এগুলো হলো- কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক-সংক্রান্ত বিষয়, মেধাস্বত্ব, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ক। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে নৈশভোজের মাধ্যমে বৈঠকটি শেষ হবে। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টোকিওতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি এবং জেট্রোর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী জাপানে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও কমিউনিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ড অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করবেন। টোকিও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়াও তিনি জাইকা, জেইটিআরও, জেইইআইসি, জেবিপিএফএল, জেবিসিসিইসির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকসহ আরও কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সহধর্মিণী আকি আবে ও জাপানি স্থপতি তাদাও আন্দোর সঙ্গেও দেখা করবেন। প্রধানমন্ত্রী টোকিও থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছে ১ মে বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ মে যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য কমনওয়েলথ দেশের রাজা ও রানী তৃতীয় চার্লস এবং তার পত্নী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেকে যোগদানের জন্য লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ করবেন। প্রধানমন্ত্রী আগামী ৯ মে লন্ডন থেকে ঢাকা পৌঁছবেন।

সর্বশেষ খবর