বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা
বিএনপিকে ইসি আলমগীর

নির্বাচনে এসে পরীক্ষা নিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনে এসে পরীক্ষা নিন

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, বিএনপি তো কখনো বলেনি বর্তমান ইসির প্রতি আস্থা নেই। সেক্ষেত্রে ইসির কাজের পরীক্ষা নিতে অন্তত ভোটে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন এ নির্বাচন কমিশনার।

বর্তমান ইসির অধীনে স্থানীয় সরকার ও উপনির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়াকে নিজেদের ব্যর্থতা মনে করে না নির্বাচন কমিশন। তবে বরাবরের মতো দলটিকে ভোটে আসার আহ্বান রয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটির। ভোটে না আসাকে বিএনপির ‘রাজনৈতিক কৌশল’ বলে মন্তব্য করেন এই নির্বাচন কমিশনার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে তারা (বিএনপি) বলেছে যে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। আমাদের বলেনি যে নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা থাকায় আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না। তারা তো বলেনি কখনো। এটা রাজনৈতিক কৌশল থাকতে পারে। বড় দলগুলো তো আসছে। বিএনপি আসেনি এটা তো তাদের রাজনৈতিক কৌশল। এটা তো আমাদের ব্যর্থতা নয়। তারা কী বলেছে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ নির্বাচন করেছে এ জন্য আসব না। দলটিকে ভোটে আসার আহ্বান জানান তিনি। বিএনপির উদ্দেশে মো. আলমগীর বলেন, এ পর্যন্ত ভালো কাজ করে যাচ্ছি এবং আগামীতেও ভালো কাজ করব। আমাদের আহ্বান সব সময় থাকবে, যে আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন, আমাদের পরীক্ষা নিন। আপনারা তো আমাদের পরীক্ষাই নিচ্ছেন না। পরীক্ষা না নিয়েই আমরা যে অকৃতকার্য হলাম কীভাবে আপনারা বুঝলেন। আমরা পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত সব সময়। নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, বার্তা হলো যারা দোয়া চেয়েছেন তারা অনেকেই প্রার্থীই নয়। কিসের দোয়া চেয়েছেন সেটা তো লেখা নেই। বোঝা যাবে যারা নমিনেশন নেবেন এবং জমা দেবেন তারপর বোঝা যাবে।

তিনি জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয়। সেদিন থেকে অফিশিয়ালি আচরণ বিধি না মানলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার আগে এখন যেটা করছে আমাদের কর্মকর্তারা সেটা অনেকটা মোটিভেশনাল। আমাদের আইনে আছে যে শোডাউন করা যাবে না। কিন্তু আমাদের কালচারটা হলো শোডাউনের। একটা কালচার তো একদিনে পরিবর্তন হয় না। শোডাউন করলে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে এবং এমনও হতে পারে যে শোডাউনের বিষয়টি যদি কোনো প্রচারমাধ্যমে আসে নির্বাচন কমিশনের তো একটা ক্ষমতা আছে। সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে সিইসি ও নির্বাচন কমিশনাররা মাঠে বৈঠক করবেন। এ সময় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে কর্মকর্তারা মাঠে নেবে যাবে। এখন মোটিভেশনাল ওয়ার্ক করা হচ্ছে, তখন মাঠে নেমে যাবে।

তিনি জানান, প্রার্থীরা মাঠে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে পারবেন। তবে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে প্রচার চালাতে পারবেন না। এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীদের সঙ্গে মিটিং হবে। এবার আমরা যেটা চিন্তা করছি, প্রতীক বরাদ্দের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিটিং করে ফেলব, যাতে প্রার্থীরা আচরণ ভঙ্গ করতে না পারেন।

সর্বশেষ খবর