আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কিন্তু বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। গতকাল ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। কোনো নিষেধাজ্ঞায় নির্বাচন বন্ধ হবে না। কারণ বিদেশিরা আমাদের বন্ধু, প্রভু নয়। আর দেশের সংবিধানে যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপার উল্লেখ নেই। তাই এ বিষয়ে কথা বললে বিএনপি ভিসা নীতিতে আক্রান্ত হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছেন শেখ হাসিনা। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়াতে আছি। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন বানচালের জন্য ষড়যন্ত্র করছে। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিপরীত পথে হাঁটছে তারা। যারা অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের ব্যাপারে আমেরিকার পদক্ষেপ কী হবে, এখন সেটা দেখার বিষয়। ফলে ভিসা নীতি নিয়ে বিএনপিই চাপে আছে। তিনি বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের বারবার ক্ষতি করেছে। সেই ক্ষতি মেরামত করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই বিএনপি অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষতি করতে চাইছে। নোংরা ও নষ্ট রাজনীতি করেছে। এদের কাছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ নিরাপদ নয়। তাই শপথ নিতে হবে- জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক এই অপশক্তি বিএনপিকে প্রতিহত করতে হবে। বিএনপির বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আমাদের শান্তি সমাবেশ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেরানীগঞ্জ এবং খাগড়াছড়িসহ বিভিন্ন স্থানে বিএনপি অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপানোর নাটক করেছে। এসবের মধ্য দিয়ে তারা ভুল বার্তা দিচ্ছে। তবে নেতা-কর্মীদের বলব আপনারা শান্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করুন। আমরা আগ বাড়িয়ে কিছু করব না। তবে কোনো হামলা হলে ছাড় দেওয়া হবে না।
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন, দলীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী প্রমুখ।
