বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

আয়কর আইন পাস হচ্ছে

৬০ দিনের মধ্যে ফেরত করের অতিরিক্ত টাকা

শাহেদ আলী ইরশাদ

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমদিন ১ জুলাই থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আয়কর আইন। আসছে বাজেটে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা থাকবে। সংশ্লিষ্টদের আশা, নতুন আইন কার্যকর হলে কর ফাঁকি যেমন বন্ধ হবে, তেমনি কর দিতে ভোগান্তিও কমবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যমতে, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আয় থেকে রাষ্ট্র যে রাজস্ব আয় করে তা আয়কর। সেই আয়কর ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের মাধ্যমে। প্রায় এক যুগের চেষ্টায় সেটা বদলে নতুন একটি আইন করা হয়েছে। এই আইন পাসের জন্য তোলা হবে জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে। বর্তমান আইনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বছরে ২৮ বার রিটার্ন দাখিল করতে হয়। নতুন আইনে সেটা কমিয়ে ১২টি করা হয়েছে। আগে রাজস্ব কর্মকর্তারা অন্তত ২০টি ক্ষেত্রে কর নির্ধারণ করতে পারতেন। নতুন আইনে কর নির্ধারণে অনুসরণ করা হবে গাণিতিক পদ্ধতি। অগ্রিম আদায়কৃত কর ফেরত দেওয়া প্রক্রিয়াও স্বয়ংক্রিয় করা হচ্ছে। রিটার্ন প্রসেস হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফেরতযোগ্য কর স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। নতুন আইনটি বাংলা ভাষায় প্রণয়ন করা হয়েছে। আগের আইনটি ছিল ব্রিটিশ আইনের আদলে ইংরেজিতে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর আইন পর্যালোচনা কমিটির সদস্য স্নেহাশীষ বড়ুয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যখন আমরা নতুন আইনটা করি, তখন উদ্দেশ্য ছিল এটাকে কীভাবে যুগোপযোগী করা যায়। আরও বেশি ব্যবসাবান্ধব করা যায়। আন্তর্জাতিক চর্চার সঙ্গে কীভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায়। ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয় এমন কোনো বিধান তৈরি করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে কর দিয়ে কর ফেরত পাওয়া অনেক দীর্ঘসূত্রতার ব্যাপার। অনেক অভিযোগ আসে। নতুন আইনে রিটার্ন প্রসেস হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে ফেরতযোগ্য কর থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার হবে। এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, করবান্ধব পরিবেশ তৈরি করলে ব্যবসায়ীরা আরও কর দিতে উৎসাহী হবেন। যখন রাজস্ব আয় বাড়বে, তখন সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সে জন্য কর কাঠামোটা পুনঃবিন্যাস করা উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর