রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

রাজবন্দি নেই, তারা হামলাকারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজবন্দি নেই, তারা হামলাকারী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি বলছে হাজার হাজার রাজবন্দি। আমি বলব রাজবন্দি বলতে কারাগারে কেউ নেই। আমাদের কাছে বন্দি যারা আছে বিএনপির অ্যাকটিভিস্ট। গতকাল দুপুরে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে পুলিশ স্টাফ কলেজে কনভেনশন হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কর্তব্যরত অবস্থায় জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যের পরিবারবর্গকে স্বীকৃতি স্মারক প্রদান অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি (অর্থ) আবু হাসান মুহম্মদ তারিক। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, র‌্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেনসহ অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাজবন্দি বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা আমার পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমার আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমাদের মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে। আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। যেটা পুলিশ করছে। তিনি বলেন, এখানে অন্যায়ভাবে বা রাজনৈতিকভাবে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তারা যে অপপ্রচার চালাচ্ছে তার কোনো ভিত্তি নেই। তবে তারা নির্বাচনের পর মনগড়া তথ্য প্রচার করে বিদেশিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছে। অথচ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশি সাংবাদিকরা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমেরিকারও দু-একটি সংগঠন বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে কে কী বলল সেটা আমাদের বিবেচ্য নয়। আমাদের দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালেও তারা (বিএনপি) একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। ২০০৮ সালে ৩০টি, ২০১৮ সালে ছয়টি সিট পেয়েছে। তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন করবেন না বলে মুচলেকা দিয়ে ইংল্যান্ডে গেছেন, আত্মগোপন করেছেন। আর তার নির্দেশ অনুযায়ী আমরা দেখলাম দলটির সেক্রেটারি জেনারেল পদত্যাগ করেছেন। ইংল্যান্ডে বসে থেকে তিনি এদেশে তার দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধু এ দেশের জনগণ নয়, তার দলীয় নেতা-কর্মীদেরও ভালোমন্দ চান না। দিন দিন এ দলটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানে যাবেন তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যতদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন, ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ। সংবিধান অনুযায়ী যেভাবে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তার পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আসাদুজ্জামান খান বলেন, নির্বাচনকালে নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করেছে। অনেক মন্ত্রী, বড় বড় নেতা এই নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছেন। কাজেই আমরা সুনিশ্চিত করে বলতে পারি এই নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি বা কোনো ধরনের সাপোর্ট কেউ পেয়েছে বলে আমরা মনে করি না, দেখিওনি। নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।

সর্বশেষ খবর