নির্বাচনের আগে কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আর কোনো বিতর্ক করতে রাজি নন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ ট্রাম্প লিখেছেন, আর কোনো বিতর্ক হবে না। ২৭ জুন জো বাইডেনের পর গত মঙ্গলবার কমলার সঙ্গে বিতর্ক করেন ট্রাম্প। এ বিতর্কের পর বিভিন্ন জরিপে কমলা জয়ী হয়েছেন বলে উদঘাটিত হলেও ট্রাম্প নিজকে বিজয়ী দাবি করছেন। এমন অবস্থায় নর্থ ক্যারোলিনায় বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক নির্বাচনি সমাবেশ থেকে কমলা আরেকটি বিতর্কে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর আগেই ট্রাম্প তার অনীহার কথা বলেছেন। উল্লেখ্য, রিপাবলিকান পার্টির কট্টর সমর্থক ফক্স টিভির পক্ষ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্প এবং কমলার মধ্যে আরেকটি বিতর্ক অনুষ্ঠানের হোস্ট হওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল। তাতেও সম্মতি দেননি ট্রাম্প। অ্যারিজোনা স্টেটের টাকসানে বৃহস্পতিবারের নির্বাচনি সমাবেশে ট্রাম্প বলেছেন, আমরা দুটি প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক করেছি। তা ছিল খুবই সফল। তাই তৃতীয় কোনো বিতর্ক হবে না। মঙ্গলবার ফিলাডেলফিয়ায় কমলার সঙ্গে অনুষ্ঠিত বিতর্কে ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন বলে দাবি করলেও তার নির্বাচনি প্রচার কমিটির শীর্ষ নেতারাও হতাশা ব্যক্ত করেছেন। কারণ, কমলার কাছে ট্রাম্প টিকে থাকতে পারেননি। এজন্য তারাও আরেকটি চান্স গ্রহণের পক্ষে রয়েছেন। জনমত তৈরির ক্ষেত্রে, বিশেষ করে সিদ্ধান্তহীন ভোটারকে পক্ষে টানতে প্রার্থীদের বিতর্ক অপরিসীম ভূমিকা রাখে বলে সবাই মনে করছেন। এদিকে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং সাবেক ফার্স্ট লেডি লরা বুশ নভেম্বরের নির্বাচনে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকেই ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন। এই দম্পতির পক্ষে তাদের একজন মুখপাত্র এ তথ্য গণমাধ্যমে দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে, জর্জ বুশ বেশ কবছর আগেই প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের কার্যক্রম থেকে অবসর নিয়েছেন। তাই তারা আসন্ন ব্যালট যুদ্ধে কাউকে ভোট দিতে রাজি নন। একই কারণে ২০১৬ সালের নির্বাচনেও ট্রাম্প অথবা হিলারি-কাউকেই ভোট দেয়নি এই দম্পতি।