ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের তালিকা যাচাইবাছাই করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে সরেজমিনে গিয়ে শহীদদের তালিকা যাচাইবাছাইয়ে আট সদস্যের একটি কমিটিও করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১) উপসচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে শহীদ ও আহতদের একটি খসড়া তালিকা ডেটাবেজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রণয়ন করেছে। শহীদদের এ তালিকা পূর্ণাঙ্গ করার জন্য সরেজমিনে যাচাই করা বিশেষ প্রয়োজন। এ অবস্থায় মাঠপর্যায় থেকে তালিকা যাচাইবাছাই করতে নিম্নরূপ কমিটি গঠন করা যেতে পারে। জেলা প্রশাসক সভাপতি; পুলিশ সুপার, পরিচালক/তত্ত্বাবধায়ক, মেডিকেল কলেজ/জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সংশ্লিষ্ট উপজেলা), উপপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়ক (দুজন), উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সদস্য এবং সিভিল সার্জন (সংশ্লিষ্ট জেলা) সদস্যসচিব। কমিটির কার্যপরিধির মধ্যে রয়েছে : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রতিটি জেলার শহীদ ও আহতদের তালিকা সরেজমিন যাচাইবাছাইকরণ। প্রেরিত তালিকায় কোনো তথ্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ বা অসম্পূর্ণ থাকলে তা সঠিককরণ। ভুল তথ্য পাওয়া গেলে তা বাতিল করার সুপারিশকরণ। তালিকাবহির্ভূত কোনো শহীদ এবং তার পক্ষে সঠিক তথ্য পাওয়া গেলে তা বিদ্যমান তালিকায় অন্তর্ভুক্তকরণে ব্যবস্থা গ্রহণ। আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে প্রেরিত তালিকা সঠিকভাবে যাচাইবাছাই করে পূর্ণাঙ্গ নির্ভুল তালিকা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বরাবর প্রেরণ করতে হবে। এ কার্যক্রমে ফোকাল পারসন হিসেবে (১) উম্মে হাবিবা, উপসচিব, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং মো. নিকারুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন। তালিকায় কেবল গণ অভ্যুত্থানের পক্ষে শহীদ ও আহতদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত জেলা পর্যায়ের যাচাইবাছাই কমিটি চূড়ান্তকরণসহ নির্ভুল তালিকা প্রণয়নের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ করা হলো।