অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের রায় বাতিল করে খালাস দিয়েছেন হাই কোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ রায় দেন। আদালতে মামুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা চৌধুরী। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। পরে আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, এ নিয়ে দন্ড হওয়া তিনটি মামলায় মামুন খালাস পেলেন। আরও তিনটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে দন্ড রয়েছে। জামিনে মামুন গত ৬ আগস্ট মুক্তি পেয়েছেন। জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর রায়ে মামুনকে ৭ বছর কারাদন্ড এবং ১২ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। একই সঙ্গে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে হাই কোর্টে আপিল করেন মামুন। আপিলের শুনানি শেষে গতকাল রায় দেওয়া হয়। ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামুনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করে দুদক।
চাঁদাবাজির মামলায় খালাস পেলেন আমান : চাঁদাবাজির মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদন্ড থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানকে খালাস দিয়েছেন হাই কোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর আপিল মঞ্জুর করে গতকাল বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আইনজীবী নাজমুল হুদা। তাদের সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী তারেক ভূঁইয়া।
২০০৭ সালের ৬ মার্চ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলাটি করেন পূর্ব আগানগরের রফিকুল আলম নামে এক ব্যক্তি। এ মামলায় ২০০৭ সালের ৭ মার্চ আমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০০৮ সালের ৮ মে সাত বছরের কারাদন্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে হাই কোর্টে আপিল করেন আমান। গতকাল শুনানি শেষে আপিল মঞ্জুর করে রায় দেন হাই কোর্ট।