সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনিয়মের মাধ্যমে ১০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দের অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। বিকাল ৫টায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, গোপনে পুরো পরিবারের নামে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নেন শেখ হাসিনা। অনুমোদিত মামলায় শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ রাজউকের কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে আমাদের অনেক অগ্রগতি আছে। অনুসন্ধান দল এনিয়ে অনেক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আমাদের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য এসেছে। যেগুলোর মধ্যে বিশেষ করে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের ৬০ কাঠা বরাদ্দ-সংক্রান্ত বিষয়ে শিগগিরই ভালো কিছু তথ্য আপনাদের (সাংবাদিক) জানাতে পারব। আমরা যেসব তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি, সেগুলোতে স্পষ্টভাবেই ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদক জানায়, শেখ হাসিনাসহ তার পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ দুদক থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গত ২৭ ডিসেম্বর। আর রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের বিশেষ ক্ষমতাবলে শেখ হাসিনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিজের ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, বোনের ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপান্তরিত নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০০৩ নম্বর রোড থেকে ১০ কাঠা করে মোট ৬০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।
দেড় দশক দেশ শাসনের পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর পর থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।