জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, তারা বলে- জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না; কিন্তু আজ দেখেন, এই সমাবেশে এক পাশে পুরুষ আরেক পাশে হাজার হাজার নারী। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীরা আরও দুটি জিনিস নিয়ে চলাফেরা ও কর্ম করবে। তাহলো সম্মান ও নিরাপত্তা। গতকাল দুপুরে দিনাজপুরে গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ৫৩ বছরের সব খুনের বিচার হতে হবে। বিচার না হলে হত্যার সংস্কৃতি বন্ধ হবে না। চাঁদাবাজি, লুটপাট ও ঘুষের বিচার হতে হবে। না হলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না। যারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিয়ে এই দেশ মুক্ত করেছে, তাদের সঙ্গে আছি। আমরা তরুণদের হাতে দেশ তুলে দিতে চাই।
জামায়াত মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চায় মন্তব্য করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যারা কথায় কথায় আমাদের অন্য দেশে চলে যেতে বলত, তারাই এখন দেশের বাইরে। দেশ থেকে জুলুমকারী বিদায় হয়েছে; কিন্তু জুলুম বন্ধ হয়নি। তিনি বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) আমাদের ১১ শীর্ষ নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। এই দিনাজপুরের একজন বিচারক বলতেন, তিনি নাকি ‘শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’। আমরা বলি, তিনি শপথভঙ্গের বিচারপতি। তার বিরুদ্ধে এ কারণেই ফৌজদারি মামলা হতে পারে।
শাপলা চত্বরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা বলে- শাপলা চত্বরে নাকি কোনো আলেমকে হত্যা করা হয়নি। সেখানে নাকি আলেমরা রং ছিটিয়ে দিয়েছেন। কতটা নির্লজ্জ হলে একজন প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলতে পারেন। হিন্দু ধর্মের লোকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখানে অন্য সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তি বক্তব্য দিয়েছেন। তারা বলেছেন, এমন একটা বাংলাদেশ চাই যেখানে আতঙ্ক থাকবে না। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা এমন একটি দল খোঁজেন, যারা আপনাদের নিরাপত্তা দিতে পারবে। একটু বিবেক দিয়ে খুঁজলেই পাবেন। তিনি আরও বলেন, রংপুরের পীরগঞ্জে গরু চুরি করে, জমি দখল করে হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দিয়ে কোনো তদন্ত ছাড়াই ক্ষমতার সর্বোচ্চ জায়গা থেকে বলা হলো, জামায়াত অগ্নিসংযোগ করেছে। দুদিন পরই জুলুমের শিকার হিন্দুরা বলল, এখানে জামায়াতের কেউ আসেনি।