জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেছেন, নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা কোনো ব্যক্তি বা দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করলে তাকে প্রত্যাহার করে প্রচলিত আইনের আওতায় এনে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পুলিশের নিয়োগ নিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সচিব বলেন, কেউ এই দুঃসাহস করবে না। মাঠ প্রশাসন বলতে আমি যাদের বুঝি বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তারা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, অ্যাসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনার-ভূমি) এবং অন্যান্য অফিসাররা নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ডিউটি করেন। এটা হলো ম্যাজিস্ট্রেসি ডিউটি। প্রেস সচিব শক্তভাবে বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই, এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই।
সচিব আরও বলেন, রিটার্নিং অফিসার কারা হচ্ছে সেটা নির্ধারিত হবে তফসিল ঘোষণার পর। তখন সরাসরি যে নির্দেশনা যাবে, এর বাইরে, কোনো ডিসি কাজ করতে পারবেন না। সবাই দেশপ্রেমিক মানুষ, সবাই চায় একটা মডেল। আমরা গর্ববোধ করি এমন একটা নির্বাচন হোক।
গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনের পর, আগামী নির্বাচন আপনাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, আমরা এ চ্যালেঞ্জ মেনে নিয়েই অনেক ধরনের যাচাই-বাছাই করে আগে যারা এগুলোর সঙ্গে জড়িত ছিল বা প্রো-অ্যাকটিভ ছিল, ওভার অ্যাকটিভ ছিল। তারা কেউই তালিকার মধ্যে নেই এবং থাকবেন না।
জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ডিসি নিয়োগ করার জন্য আমাদের জনপ্রশাসন সংক্রান্ত সাত সদস্যের একটি কমিটি আছে। এ ছাড়া ডিসি সিলেকশন কমিটি আছে পাঁচ সদস্যের, ডিসি ফিট লিস্ট হয়। ফিট লিস্টের পর কমিটিতে সেটা তোলা হয়। সেখান থেকে দেখে ডিসি পোস্টিং হয়। সেটা প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করেন। এরপর সেটা জনপ্রশাসনে আসে, আমরা প্রজ্ঞাপন জারি করে দিই। এটা জনপ্রশাসনের একক কাজ নয়। অনেকের ধারণা, এটার শুরু শেষ মনে হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে, তা নয়। আমরা প্রক্রিয়ার একটা অংশ।