ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে কর্মস্থলে ফিরেন এমন ব্যক্তিরা সহকর্মী বা বসের বৈষম্যের শিকার হন। চালায় দাতব্য সংস্থা ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্টের একটি জরিপে এ তথ্য ওঠে এসেছে। এক হাজার নয় জন রোগীর ওপর এই জরিপটি চালানো হয়। খবর বিবিসির।
ম্যাকমিলানের কর্মকর্তা লিজ এগান বলছেন, রোগীদের বক্তব্যে এটাই প্রমাণ করে যে বেশিরভাগ অফিস তার কর্মকর্তাদের এক্ষেত্রে সঠিকভাবে পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। ব্রিটেনের যেসব নাগরিক ক্যান্সারে ভুগেন তারা তাদের কর্মস্থল থেকে ভালো সহায়তা পাবার অধিকার রাখেন, এমনকি ওই রোগীদের জন্য বিশেষ কর্মকর্তাও নিয়োগ দেয়া উচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর। কিন্তু দুঃখের বিষয় খুব কম সংখ্যক প্রতিষ্ঠানই সত্যিকার সাহায্যের মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসছে।
২০১০ সালে শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে ৫৮ বছর বয়সী টেরি ফস্টারের। তাকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছিল ১৯ দিন। এক সময় ধারণা করা হয়েছিল ফস্টার হয়তো আর বাঁচবেন না। তিনি বলেন, ক্যান্সারের রোগী হওয়ার কারণে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ম্যাকমিলান ক্যান্সার সাপোর্টের এগান বলেন, ক্যান্সার আক্রান্ত অনেকেই জানেন না যে 'ইকুয়েরিটি অ্যাক্ট ২০১০' অনুযায়ী তাদেরও অধিকার আছে।
জরিপে দেখা যায়, ক্যান্সার আক্রান্ত হলে কর্মস্থলে অনেকেই বৈষম্যের শিকার হন এবং চাকরি হারানোর ভয়ও থাকে। তাই অনেক সময়ও এমনও দেখা যায় ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েও সেটা সহকর্মী বা প্রতিষ্ঠান কাউকেই জানান না অনেক রোগী।
বিডি প্রতিদিন/৮ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা