ত্বক আমাদের বাহ্যিক পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে। এই ত্বকচর্চার উপকরণ হিসেবে হলুদের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদের নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে ওঠে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এছাড়া ব্রণ, অনাকাঙ্খিত দাগ, বার্ধক্যের ছাপ প্রতিরোধ করে হলুদ। এটি খেলে শরীরের ভেতর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়, ত্বক ফর্সা হয়।
এছাড়া নানাবিধ প্রাকৃতিক উপাদানের সঙ্গে হলুদের ব্যবহার করতে পারেন। এত দ্রুত ফল পাওয়া যায় এবং এর কোনো পাশ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যেমন- রোদে পুড়ে রঙ কালো হয়ে গেলে সামান্য দুর্বা ঘাস, কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে দুধের সর মিশিয়ে লাগালে মুখ, গলা, ঘাড়, হাতের কালো ছোপ দূর হয়। হলুদের গুঁড়ার সঙ্গে শসার রস অথবা কমলালেবুর রস মিশিয়ে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। স্বাভাবিক ত্বকে কাঁচা হলুদের পেস্ট, গাদাফুলের পাপড়ির পেস্ট ও ঘৃতকুমারীর শাঁস সমপরিমাণ মিশিয়ে মিশ্রণটি ১৫ মিনিট মুখে লাগান। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বকে কাঁচা হলুদ বাটার সঙ্গে মেখে এক চামচ লেবুর খোসা বাটা মেশান। এবার মিশ্রণটি মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রাখার পর ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিন। শুষ্ক ত্বকেও হলুদ কাজ করে জাদুর মতো। কাঁচা হলুদের পেস্ট দুই চামচ, ডিমের কুসুম একটি ও চালের গুঁড়া দুই চামচ একসঙ্গে মিশ্রণ করে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর উষ্ণ পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
মিশ্র ত্বকে এক চামচ কাঁচা হলুদ, দুই চামচ তুলসী পাতা, দুই চামচ পুদিনা পাতা একসঙ্গে পেস্ট করে এক চামচ জবের গুঁড়া মিশিয়ে ওই মিশ্রণটি ১০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। এরপর পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
বিডি প্রতিদিন/১৪ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা