সাধারণ বিমা খাতে প্রিমিয়াম বকেয়ার কারণে ক্ষতিপূরণ প্রদান কার্যক্রমে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি বিমা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে প্রাপ্য পুনর্বিমার প্রিমিয়াম আদায়ে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সাধারণ বীমা করপোরেশন। সূত্র জানায়, চলতি বিমা চুক্তি বছর (এপ্রিল-মার্চ) থেকে প্রিমিয়াম পরিশোধে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর জন্য চুক্তিপত্রে ‘চুক্তি বাতিলের নোটিস’ সংযোজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাধারণ বীমা করপোরেশন। ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় এ উদ্যোগের অনুমোদন দিয়েছে। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয় পরামর্শ দিয়েছে, বিমা আইন ২০১০, বীমা করপোরেশন আইন ২০১৯ এবং সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান অনুযায়ী প্রিমিয়াম না দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে। বর্তমানে দেশে ৪৫টি নন-লাইফ বিমা কোম্পানির মধ্যে ১২টির সঙ্গে ৫০ শতাংশ এবং ৩৩টির সঙ্গে ১০০ শতাংশ পুনর্বিমার চুক্তি রয়েছে সাধারণ বীমা করপোরেশনের সঙ্গে। প্রতি প্রান্তিকে প্রিমিয়াম পরিশোধের জন্য নোটিস দেওয়া হলেও অনেক কোম্পানি প্রিমিয়াম ছাড়ের অনুরোধ করে থাকে, যা আদায়ে জটিলতা তৈরি করছে। সাধারণ বীমা করপোরেশনের এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘প্রিমিয়াম আদায় এখন করপোরেশনের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে অগ্নিবিমা খাতে সম্প্রতি ক্ষতিপূরণ দাবির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি আরও বেড়েছে।’ ২০২৩ সাল থেকেই চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হচ্ছে, ‘প্রতি প্রান্তিক শেষে প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে হবে। প্রান্তিক শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে প্রিমিয়াম পরিশোধ না হলে চুক্তি বাতিলের নোটিস প্রদান করা হবে।’ এবার ওই নীতিমালাকে আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে চায় করপোরেশন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিমা কোম্পানিগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বকেয়া প্রিমিয়াম পরিশোধ না হলে তাদের ঝুঁকি বহন করবে না সাধারণ বীমা করপোরেশন। ২০২৪ সালে সাধারণ বীমা করপোরেশন পুনর্বিমার প্রিমিয়াম বাবদ ৪১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা আদায় করতে সক্ষম হলেও ১ হাজার ১২৩ কোটি ২০ লাখ টাকা এখনো বকেয়া রয়েছে। অন্যদিকে কোম্পানিগুলোর ক্ষতিপূরণ দাবি রয়েছে মোট ৩ হাজার ৪২ কোটি টাকারও বেশি, যা এখনো পরিশোধ হয়নি। চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘প্রিমিয়াম বিমার মূল বিবেচ্য বিষয়। প্রিমিয়াম আদায় ছাড়া কোনো ঝুঁকি কাভার করা যায় না, ফলে ক্ষতিপূরণও প্রদান করা সম্ভব হয় না।’ এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করলে সাধারণ বিমা করপোরেশনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ‘গত বছর থেকেই আমরা চুক্তি স্বাক্ষরের আগে বকেয়া প্রিমিয়াম আদায়ে চাপ দিচ্ছি। এ বছরও আমরা তা অব্যাহত রেখেছি এবং চুক্তি স্বাক্ষর শুরুও হয়েছে। কোম্পানিগুলোও সহযোগিতা করছে।’ তবে তিনি মনে করেন, এ সমস্যার সমাধান একদিনে হবে না। কারণ গত বছরের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনসহ সার্বিক ব্যবসা পরিস্থিতির কারণে বিমা কোম্পানিগুলোও আর্থিক চাপে রয়েছে।
শিরোনাম
- জবির নারীসহ চার শিক্ষার্থীকে মারধর
- ‘আওয়ামী লীগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সবার সঙ্গে প্রতারণা’
- দুই বছরের বিরতি শেষে পর্দায় ফিরছেন বিদ্যা সিনহা মিম
- ‘গণতন্ত্রের চর্চা হোক ক্লাসরুম থেকে’ স্লোগানে চবি রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে সিআর নির্বাচন
- নির্বাচন ও গণভোটের বাজেট নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
- রংপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৭
- মালয়েশিয়ায় বন্যা: শাহ আলমের আশেপাশে বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ, ভ্রমণে ঝুঁকি
- সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় গাইলেন বাপ্পা মজুমদার ও কোনাল
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- নগদ টাকার লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি কমে আসবে: গভর্নর
- প্রথমবারের মতো ভাড়াটিয়া-বাড়িমালিকদের নিয়ে বসছে ডিএনসিসি
- অন্যস্বর টরন্টোর আয়োজনে অভিনেত্রী শান্তা ইসলামের সঙ্গে কথোপকথন
- বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হবে দক্ষিণ এশিয়া: বিশ্বব্যাংক
- সাক্ষী না আসায় পিছিয়েছে আবু সাঈদ হত্যা মামলার শুনানি
- ৭৫ দেশের ২৫০টি সিনেমা নিয়ে ঢাকায় উৎসব
- তিন আর্জেন্টাইনের দাপটে ফাইনালে মায়ামি
- চোর সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত, আহত ৩
- সিডনিতে সাবেক এআইইউবিয়ানদের গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
- জামিন পেলেন ঢাবি শিক্ষক হাফিজুর রহমান কার্জন
- বাউফলে জাল দলিল তৈরির দায়ে যুবকের কারাদণ্ড
প্রকাশ:
০০:০০, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
আপডেট:
০০:১৫, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫
বিমা কোম্পানিগুলোর পাওনা ৩ হাজার ৪২ কোটি
বকেয়া দাবি মেটাতে পারছে না সাধারণ বীমা করপোরেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর