মিসরের সিনাই উপত্যকায় রুশ যাত্রীবাহী বিমানটি বাইরের প্রভাবেই বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সটি। রুশ এয়ারলাইনার কোগালিমাভিয়ার (এটি মেট্রোজেট নামে ফ্লাইট পরিচলনা করে) ডেপুটি ডিরেক্টর আলেক্সান্ডার স্মিরনভ সোমবার এ দাবি করেছেন। খবর বিবিসির।
স্মিরনভ বলেন, 'একমাত্র বাইরের প্রভাবেই এ বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।'
মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, 'বিমানটি মধ্য আকাশে বিধ্বস্তের ব্যাপারে বিশেষ, যান্ত্রিক ও শারীরিক প্রভাব থাকতে পারে।'
বিমানটি বিধ্বস্তের কারণ অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞরা বিমানের ব্ল্যাকবক্স ও অন্যান্য বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।
রাশিয়া ও মিসরের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিমান বিধ্বস্তের কারণ জানানো হয়নি। তবে আইএস বা অন্য কোনো সংগঠনের হামলার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার ফেডারেল এভিয়েশন এজেন্সির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোগালিমাভিয়ার এ দাবির পেছনে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ নেই।
এদিকে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, 'মিসরকে অস্থিতিশীল করতেই আইএস বা অন্য কোনো গোষ্ঠীর হামলার কথা বলা হচ্ছে।'
মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক জেমস ক্ল্যাপার বলেছেন, এখন পর্যন্ত ওই ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসীরা জড়িত রয়েছে এমন কোনো স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
মিসরের লোহিত সাগরের শারম আল-শেখ রিসোর্ট থেকে গত শনিবার উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বেসামরিক যাত্রীবাহী এয়ারবাস ৩২১ বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ৯২৬৮ ফ্লাইটের বিমানটি মিসর থেকে সাইপ্রাস হয়ে রাশিয়ার পিটাসবার্গের উদ্দেশে যাচ্ছিল।
যাত্রাপথে মিসরের সিনাই উপত্যকায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। এটিতে মোট ২২৪ আরোহী ছিল। এদের মধ্যে ২৫ শিশুসহ ২১৭ যাত্রী ও সাত ক্রু, যাদের সবাই নিহত হয়েছেন।
মিসরীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটিতে ২১৩ রুশ পর্যটক ও চারজন ইউক্রেনের নাগরিক ছিলেন। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেখানে অন্তত একজন বেলারুশের নাগরিক রয়েছেন।
দুর্ঘটনাটি তদন্ত করছে মিসর, রাশিয়া ও ফ্রান্সের তদন্ত কর্মকর্তারা।
বিডি-প্রতিদিন/০৩ নভেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ