উত্তর কোরিয়া একটি দূরপাল্লার রকেট উৎক্ষেপণ করেছে। প্রতিবেশী কয়েকটি দেশ এবং বিশ্বশক্তিগুলোর হুমকি উপেক্ষা করে এ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দেশটি। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র দেশটির সরকারি সংবাদ সংস্থা ইয়োনহ্যাপকে জানায়, গ্রিনিচ মান সময় বা জিএমটি ০০.৩০ এ উত্তর কোরিয়ার ডংচাং-রি ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র থেকে ছোড়া হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি।
পিয়ংইয়ংয়ের দাবি, রকেটটি একটি উপগ্রহ বহন করেছে। অবশ্য অনেকেই মনে করছে রকেট ছোড়ার আড়ালে প্রকৃতপক্ষে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে দেশটি। এটির পাল্লা ১০ হাজার কিলোমিটার বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড এখন উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার মধ্যে এসে গেল।
যুক্তরাষ্ট্রের এক পদস্থ কর্মকর্তা রকেট ছোড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, 'দক্ষিণে পীত সাগরের দিকে এ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। অবশ্য রকেটের গতিপথ হিসাব করে বোঝা যাচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র বা তার মিত্রদের জন্য এটি হুমকি ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে তার ভাষায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী এবং উস্কানিমুলক বলে অভিহিত করেছে। এদিকে এটি নিক্ষেপের পরই জাতিসংঘকে পিয়ংইয়ং’এর বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হাই।
এ নিয়ে ষষ্ঠ দফা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল পিয়ংইয়ং। ২০১২ সালে শেষ দফা শেষ দফা পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। সে সময়ে একটি যোগাযোগ ক্ষেপণাস্ত্র কক্ষে পাঠানো হয়েছিল।
বিডি-প্রতিদিন/৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শরীফ