৩০ হাজার ভারতীয় আইএসে (ইসলামিক স্টেট) যোগদানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমনটা জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
এদিকে, ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, জঙ্গি মোকাবেলার ক্ষমতা দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর রয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের বিভিন্নস্থানে জঙ্গি তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। গতমাসে পাঠানকোটের বিমানঘাটিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এর আগে প্যারিসে জঙ্গি হামলার পরপরই ভারতে আইএসের হামলার ব্যাপারে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব কটি রাজ্যকে দেয়া ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছিল, লোন উল্ফ মডেল অর্থাৎ জনবহুল এলাকায় একা হামলা চালাতে পারে আইএস ভাবধারায় বিশ্বাসী যুবকরা। এ কারণে বিশেষভাবে সংখ্যালঘু যুব সমাজ আইএস ভাবধারায় প্রভাবিত হচ্ছে কিনা তাও নজরে রাখতে বলা হয়েছে।
ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘দ্য হিন্দু’ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতে মোট ১২টি রাজ্যে আইএসের প্রভাব রয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতেই আইএসের প্রভাব সবচে' বেশি। পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গ বা আসাম।
সম্প্রতি আর একটি তথ্যে চিন্তিত হয়ে পড়েছে ভারত। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গোটা পৃথিবীতে আমেরিকা ও এশিয়ার মধ্যে ভারতেই আইএস সম্পর্কিত ওয়েবসাইট সব থেকে বেশিবার দেখা হয়েছে। এই আগ্রহ শেষ পর্যন্ত মুসলিম যুবকদের একাংশকে আইএসের কট্টর ভাবধারায় যে একেবারে অনুপ্রাণিত করবে না এমন আশংকাও উড়িয়ে দিচ্ছে না ভারত।
বর্তমানে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আশংকার বিষয় প্রধানত দুটি। প্রথমত, আইএসের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে ধর্মীয় সাম্রাজ্য গঠনের লড়াইতে অংশ নিতে ভারত ছেড়েছেন প্রায় দুই ডজন যুবক। এদের অর্ধেকসংঘর্ষে মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। বহু যুবক যে ওই লড়াইতে অংশ নিতে সিরিয়া-তুরস্কে যেতে চান এমন প্রমাণও এসেছে তাদের কাছে। চলতি বছরে ১৭ জন যুবক কেবল তেলেঙ্গানা থেকে ও চারজন মহারাষ্ট্র থেকে তুরস্ক যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। যাদের শেষ মুহূর্তে আটকানো হয়।
দ্বিতীয়ত, সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিতে না পারলেও, আইএসের ভাবধারা মুসলিম যুব সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে তৎপর রয়েছে একাংশ। এদের অধিকাংশ শিক্ষিত, ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ। শিক্ষিত সমাজের এই অংশ বেশি চিন্তায় রেখেছে মন্ত্রালয়কে।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা