জাপানে নিজের যৌনাঙ্গকৃতি ভাস্কর্য তৈরি করে বিতর্কিত সেই 'যৌনাঙ্গ শিল্পী' কে মুক্তি দিয়েছে দেশটির আদালত। তবে তাকে চার লাখ ইয়েন আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে রাজধানী টোকিওর আদালত মেগুমি ইগারাশিকে মুক্তি দেয়।
২০১৩ সালে অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত একই মামলায় জেলে থাকার পর ফের ওই বছর জুলাইয়ে 'নৈতিকতা বিরোধী' আইনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ ছিল, তিনি যে ভাস্কর্য তৈরি করেছিলেন তা মূলত নিজের যৌনাঙ্গের আকৃতি। ২০১৪ সালে টোকিওর একটি সেক্সশপে তার তৈরি করা নারী যৌনাঙ্গকৃতির বিভিন্ন ধরনের ভাস্কর্য বিক্রি শুরু হয়।অভিযোগ ছিল, তিনি থ্রিডি প্রিন্টারে নিজের যৌনাঙ্গের ছবি নিয়ে এসব ভাস্কর্য তৈরি করেছেন।
ব্রিটিশ সংগীত শিল্পী মাইক স্কটের বাগদত্তা ৪২ বছর বয়সী মেগুমি ইগারাশির এ শিল্প কয়েকদিনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও বাধ সাধে পুলিশ। দেশের প্রচলিত আইনে জনসমক্ষে কোনও ধরনের যৌন অঙ্গভঙ্গি এমনকি যৌনঙ্কিত শিল্পকর্ম বিক্রি করা নিষিদ্ধ। আর সেই আইনেই গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে ছিলেন ইগারাশি। সোমবার আদালতে হাজিরা দিয়ে মামলা থেকে নিষ্কৃতির আবেদন করেন তার আইনজীবী।
আদালত বলছে, অভিযুক্ত মেগুমি ইগারাশির শিল্পকর্মে (কায়ুক) ব্যবহৃত যৌনাঙ্গকৃতির রং প্রকৃত ভ্যাজাইনার রং ছিল না। তাই এই মামলা থেকে তিনি অব্যহতি পেতে পারেন, তবে তিনি কীভাবে এ ভাস্কর্য তৈরি করেছিলেন তার স্পষ্ট প্রমাণ নেই। আর এজন্য তাকে চার লাখ ইয়েন জরিমানা দিতে হবে।
আদালতে মেগুমি ইগারাশি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, এটি নিছকই একটি স্বাভাবিক শিল্পকর্ম। এখানে কোন উত্তজেনাকর বিষয় ছিল না।
পরে এক সাংবাদিক সম্মলনে তিনি বলেন, আমি খুব খুশি হয়েছি যে আদালত ভুল বুঝতে পেরেছে। আমার শিল্পকর্ম বাস্তবিক কোন যৌনাঙ্গ ছিল না। আমার বিশ্বাস লোকজনের ভ্রান্ত ধারণাও কেটে যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/ এস আহমেদ