২৯ আরোহী নিয়ে নিখোঁজ হওয়া ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের (আইএএফ) বিমানটির খোঁজ মেলেনি। বিমানটি শুক্রবার সকালে ছয়জন ক্রুসহ ২৯ জন আরোহী নিয়ে বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ হয়। বিমানটির গন্তব্য ছিল আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের পোর্ট ব্লেয়ার।
নিখোঁজ বিমানটিকে খুঁজতে বঙ্গোপসাগরে তল্লাশি চালাচ্ছে ভারত। আইএএফের এএন-৩২ বিমানটি চেন্নাইয়ের তামবারাম থেকে ব্লেইর বন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করার পর নিখোঁজ হয়।
দুই পাইলট-সহ মোট ২৯ জন যাত্রী ছিলেন বিমানটিতে। তাদের কেউ বিমানবাহিনী, কেউ সেনাবাহিনী, কেউ নৌবাহিনী, কেউ উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তা। ছিলেন সেনা-আত্মীয় অসামরিক ব্যক্তিও।
স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমানটির পোর্ট ব্লেয়ারে পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু সকাল পৌনে নয়টার দিকে বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। জানা গেছে, এক টানা প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা ওড়ার মতো জ্বালানি ছিল বিমানটিতে। অনেক সময় বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দেরি হতে পারে বলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা হয়। কিন্তু বারোটা বাজার পরেও বিমানটি পোর্ট ব্লেয়ারে না নামায় আশঙ্কা বাড়তে শুরু করে। কারণ জ্বালানির হিসেব মতো বেলা একটার পরে বিমানটি আর কোনভাবেই আকাশে থাকতে পারে না। একবার ভাবা হয়েছিল, চেন্নাই এটিসি-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দিক ভুল করে মুখ ঘুরিয়ে কলম্বো চলে যেতে পারে বিমানটি। কিন্তু সেখান থেকেও কোনও খবর আসেনি। তার পরে আর দেরি না করে তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়।
সমুদ্রের যে জায়গা থেকে বিমানটি হারিয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে, সেই এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালাতে নৌবাহিনীর ১৩টি যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়। টহল দেয় নৌসেনার পি-৮আই এবং ডর্নিয়ের ও বায়ুসেনার সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস এবং এএন-৩২ এই চারটি বিমান। তার মধ্যে সুপার হারকিউলিস বিমানের নিজস্ব রাডার আছে। ফলে ওই এলাকায় কোনও বিমানের ব্ল্যাকবক্স থেকে সঙ্কেত এলে তা ধরা পড়ার কথা সেই রাডারে। কিন্তু তাতেও কিছু মেলেনি। জলের তলায় কিছু মেলে কি না, তা দেখতে পাঠানো হয় একটি ডুবোজাহাজও। উদ্ধারকাজে নেতৃত্ব দেন তিন বাহিনীর শীর্ষ অফিসারেরা। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর টুইটারে বলেন, ‘‘বায়ুসেনার এএন-৩২ বিমানটি এবং বাহিনীর সবাইকে খোঁজার সব রকম চেষ্টা চলছে।’’
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ