জার্মানের মিউনিখ শহরের একটি শপিং সেন্টারে হামলাকারী একজন ইরানি বংশোদ্ভুত জার্মান নাগরিক। ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণ গত কয়েকবছর ধরে শহরটিতে বসবাস করে আসছিল। খবর বিবিসির।
পুলিশের একজন মুখপাত্র বলছেন, ওই তরুণ একাই গুলি চালিয়ে ৮ জনকে হত্যা করেছে। তবে তার সম্পর্কে পুলিশের কাছে আগাম কোন তথ্য ছিল না। তবে হামলার ঘটনার পর সে আত্মহত্যা করেছে, নাকি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়।
এর আগে ওই হামলাকারী তরুণ আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছিল। কিন্তু এখনও বিষয়টি, নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ।
হামলার পর প্রথমে পুলিশ ধারণা করেছিল যে একাধিক হামলাকারী রয়েছে। তবে হামলাকারী একজন নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ তাদের অভিযান বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে মিউনিখের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসতে শুরু করে। যান চলাচলও শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মোজাখে বিপণী বিতানে সন্ত্রাসী হামলায় ৯ জন নিহত হন। ওই বিপণী বিতান থেকে ৮ জনের এবং এক কিলোমিটার দূরের আরেকটি জায়গা থেকে ১টি মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই শেষের জনই হামলাকারী এবং হামলা চালানোর পর তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ছাড়া ওই হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর।
এ ঘটনার পরেই জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেল শনিবার দেশটির নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠক ডেকেছেন।
চ্যান্সেলর চীফ অফ স্টাফ পিটার আল্টমাইয়ের বলেছেন, এই হামলার জন্য কারা দায়ী, সেটা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে এটি উগ্রপন্থীদের কাজ হতে পারে।
জার্মান পুলিশ বলছে, এর সঙ্গে ইসলামপন্থী কোন গ্রুপের কোন যোগসূত্র পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার কড়া নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন। জার্মানির যে কোনো সহায়তায় পাশে থাকারও অঙ্গীকার করেছেন এসব দেশের রাষ্ট্র নেতারা।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ জুলাই, ২০১৬/মাহবুব