সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের মানবিজ শহরে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতো এমন প্রায় ২ হাজার মানুষ মুক্তি পেয়েছে। মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স শুক্রবার মানবিজ শহরটি দখল করলে তারা মুক্তি পান। আইএস যোদ্ধারা সেখান থেকে পালিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা আরেকটি শহরের দিকে চলে গেছে।
কথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএসর শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর মানবিজ শহরের অধিবাসীরা এখন তা উৎসবের মতো করে উদযাপন করছে। তারা রাস্তায় নেমে আনন্দ উল্লাস করছে। অনেকে পুরুষকে হাসিমুখে তাদের দাঁড়ি কামিয়ে ফেলতে দেখা যায় আবার কেউ কেউ ধূমপান করছিলেন প্রকাশ্যে-- এসব অধিকার থেকে গত দু'বছর তারা বঞ্চিত ছিলেন।
জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়া একজন সাংবাদিকদের একটি স্থান দেখিয়ে বর্ণনা করছিলেন যেখানে মানুষজনকে শিরোচ্ছেদ করতো আইএস জঙ্গিরা। তিনি বলেন, “ওরা এখানে লোকজনকে শিরোচ্ছেদ করে মাথা ঝুলিয়ে রাখতো তিন চার দিন ধরে। এটা পুরোপুরি অবিচার। ওদের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা সবাই মুসলিম। আর তারাই কিনা এসেছে আমাদের ইসলাম শেখাতে”।
আইএস যতদিন ছিলো ততদিন এ শহরের নারীদেরই মুখ ঢেকে যেমন চলতে হতো, আবার পুরুষদের দাড়ি পর্যন্ত কামাবার অনুমতি ছিলো না। এমন নানা বিধিনিষেধের মধ্যে দু:সহ সময় থেকে এখন তারা মুক্ত।
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি ও আরব যোদ্ধারা গত ৭৩ দিন লড়াই করে তুরস্ক সীমান্তের কাছের এ সিরীয় শহরটি থেকে আইএস জঙ্গিদের বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়। মানজিব শহর ছিলো আইএস যোদ্ধাদের চলাফেরা, অস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলছে, আইএস সদস্য ও বেসামরিক নাগরিকদের নিয়ে অন্তত পাঁচশ গাড়ি মানজিব শহর থেকে বেরিয়ে গেছে। তাদের গন্তব্য এখন উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় জারা ব্লুস শহর। তুর্কি সীমান্তের কাছে এ শহরটি এখন আইএস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সূত্র: বিবিসি
বিডি-প্রতিদিন/১৪ আগস্ট,২০১৬/মাহবুব