বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. নিনা রাইনা সকল সদস্য দেশগুলোকে নবজাতক ও মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার কলম্বোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৬৯তম আঞ্চলিক অধিবেশনে তিনি এ আহ্বান জানান।
ডা. নিনা রাইনা বলেন, মাতৃ ও নবজাতকের মৃত্যুর হার কমাতে একটি সঠিক ও নির্ভুল জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। এর মাধ্যমে যাতে পরবর্তিতে গবেষণার মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে গবেষণা করা যায়।
তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ মাতৃমৃত্যুর অন্যতম কারণ। নিবন্ধনের ফলে যে কোনো কিশোরীর জন্ম তারিখ সম্পর্কে সহজেই জানা যাবে। যার ফলে সে ২০ বছরের আগে বিয়ে এবং গর্ভধারণ করতে পারবে না।
মা ও পরিবারের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রতিদিন প্রায় ৭ হাজার ৪শ’ নবজাতকের মৃত্যু হয়। এই মৃত্যুর দুই-তৃতীয়াংশ ব্যয় সংকোচন ব্যবস্থা কার্যকরের মাধ্যমে রোধ করা যায়।
এ ব্যাপারে সরকার ও এর অংশীদারদের নবজাতকের মৃত্যুরোধের ওপর নজর দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, ২০১০ সালে বিশ্বে পাঁচ বছরের কম আনুমানিক ৭৬ লাখ হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ২ দশমিক ৭ শতাংশ মৃত্যুর কারণ চিকিৎসাবিদ্যায় প্রত্যায়িত।
ডা. নিনা এ সময় স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে চিকিৎসা ক্ষেত্রে চিকিৎসক, সেবিকা বিশেষভাবে ধাত্রীসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন, যা এ অঞ্চলে অনেক কম।
বিডি প্রতিদিন/ ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম