সৌদি আরবে হাজীদের একাধিক ধর্মীয় পূন্যস্থানে যেতে হয়। কিন্তু জায়গাগুলোর মধ্যকার দূরত্ব অনেক বেশি। এতে হাজীদের কম-বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে তাদের এ কষ্ট অনেকাংশে লাগব করে দিয়েছে ট্রেন। আগে যেসব জায়গায় যেতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় হতো, সেখানে মাত্র কয়েক মিনিটেই যেতে পারছেন হাজীরা।
পূন্যস্থানগুলোতে মাশায়ের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ট্রেনগুলো হজ মেট্রো হিসেবে পরিচিত। এসব ট্রেনেই হাজীরা বেশিরভাগ সময় যাতায়াত করে থাকেন। পূন্যস্থানগুলোতে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্যাম্প থেকে হাজীদের আল-জামারত সেতুতে নিয়ে যায় এসব ট্রেন। এই সেতু থেকেই শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর নিক্ষেপ করেন হাজীরা।
আগে হাজার হাজার যানবাহন দরকার হতো এসব জায়গায় যেতে। কিছু কিছু গাড়িচালক ট্রাফিক আইন-ই মানতে চাইতেন না। এছাড়া যানবাহনের অবস্থাও ভালো ছিল না। অনেক গাড়িই ভাঙাচোরা, পুরনো। অতিরিক্ত যানবাহন এবং চালকদের ট্রাফিকআইন ভঙ্গের কারণে রাস্তায় প্রায় সময়েই তীব্র যানজট সৃষ্টি হতো। ফলে বাধ্য হয়েই হাজীদের গাড়ির ভেতর ছয় থেকে সাত ঘণ্টা বন্দী থাকতে হতো। অথচ এখন কয়েক মিনিটেই নির্ধারিত স্থানে পৌঁছাতে পারছেন হাজীরা। তাই এ বিষয়টিকে সৌদি আরবের ইতিহাসের অন্যতম বৈপ্লবিক পরিবর্তন হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
২০১০ সালের হজ মৌসুমেই ১৮.২ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রেলওয়ে প্রজেক্টের উদ্বোধন করা হয়। প্রত্যেক জায়গায় যেতে তিনটি স্টেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যাতে হাজীরা খুব সহজেই ট্রেনে উঠতে পারেন। ট্রেনে বেশ কয়েকটি সেন্সর গেট আছে যার মাধ্যমে হাজীদের চিহ্নিত করে রাখা সহজ। প্রত্যেকটি স্টেশনেই আছে ওয়েটিং রুমের ব্যবস্থা। যাতে নির্দিষ্ট সময়ে তিন হাজার হাজী সেখানে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে পারেন। সূত্র : আরব নিউজ।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ফারজানা