কাশ্মীর প্রশ্নে পাকিস্তানের পিছু হটার কোনো প্রশ্নই উঠে না বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ। গত কয়েক মাস ধরে চলা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের টানাপরানের মধ্যেই আজ (বৃহস্পতিবার) এমন মন্তব্য করলেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘কাশ্মীরকে স্বাধীন করার প্রশ্নে আমরা কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন দিয়ে যাব। কারণ, কাশ্মীর হল আমাদের লাইফ লাইন।’
রাহিল শরিফের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্র জানিয়েছেন, 'কার্যত ভারতের দাবিতেই আজ সিলমোহর দেন পাক সেনাপ্রধান। রাহিল যেটা নৈতিক ও কূটনৈতিক সাহায্যের কথা বলেছেন, তা আসলে অস্ত্র, জাল টাকা ও জঙ্গি পাঠিয়ে কাশ্মীরকে অস্থির করে রাখার কৌশল। এটাই যে তাদের জাতীয় নীতি তা সেনাপ্রধানও মেনে নিয়েছেন।’
রাহিল বলেন, ‘‘আমরা শত্রুর প্রকাশ্য ও গোপন উদ্দেশ্য জানি। আমরা যেমন বন্ধুকে চিনি, তেমনই শত্রুকেও। কী করে বন্ধুত্ব করতে হয়, কিভাবে শত্রুতা, দু’টোই জানা আছে। প্রচলিত ও অপ্রচলিত, দু’ভাবেই যুদ্ধ করতে প্রস্তুত আমরা। আগেও আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী ছিল। এখন তা দুর্ভেদ্য।’’
ভারতীয় গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন যে, ওই হুঁশিয়ারের ফল দেখা যাবে সীমান্তে। উৎসাহিত হবে জঙ্গিরা। বাড়বে উভয় পক্ষের গুলি বিনিময়। যার সুযোগ নিয়ে ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর চেষ্টা করবে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে আজ ভারতীয় সেনাপ্রধান দলবীর সিংহ সুহাগের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। মূল বৈঠকটি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত নিয়ে হলেও, কাশ্মীরের সাম্প্রতিক অশান্তি ও জঙ্গি অনুপ্রবেশ কিভাবে আটকানো যায় তা নিয়েও কথা হয় তাদের।
দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনার আব্দুল বাসিতকে আজ ডেকে পাঠান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। শুক্রবার করাচিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার কথা ছিল সে দেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার গৌতম বাম্বাওয়ালের। কিন্তু তিনি যখন অনুষ্ঠানে যাবেন বলে গাড়িতে উঠছেন, তখন জানানো হয় অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছে। এ ভাবে শেষ মুহূর্তে অনুষ্ঠান বাতিল করা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের বিরোধী এবং ভবিষ্যতে এ ধাঁচের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য বাসিতকে সতর্ক করে দিয়েছে নয়াদিল্লি।
বিডি প্রতিদিন/০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম