‘গণধর্ষণ, বিরিয়ানিতে গো-মাংসের তল্লাশি নেহাতি সাধারণ ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের হরিয়ানার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার। তিনি বলেন, এসব ঘটনা দেশের যে কোনও প্রান্তে ঘটতে পারে। এজন্য এত হাঁকডাকের কী আছে?’
হরিয়ানার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন খাট্টার। মেওয়াটে দুই বোনের গণধর্ষণ এবং বিরিয়ানিতে গো-মাংস খুঁজতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
খাট্টার বলেন, এগুলো তেমন গুরুত্বপূর্ণ সমস্য নয়। দেশের যে কোন প্রান্তেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এসব ছোটখাটো ব্যাপারে মাথা ঘামানো ছাড়াও ঢের কাজ রয়েছে তার। সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এসেছেন। আজে বাজে কথা কানে তুলতে চান না।
গত মাসে হরিয়ানার মেওয়াটে দুই বোনকে গণধর্ষণ করে কিছু দুষ্কৃতী। ঈদের দিন ওই মেওয়াটেই টহলদারি চালায় পুলিশ। নিরাপত্তার জন্য নয়, বিরিয়ানিতে গো-মাংস আছে কী না তা খতিয়ে দেখতে। বিভিন্ন দোকান ঘুরে বিরিয়ানি পরীক্ষা করা হয়। মাংস মুরগির না গরুর তা দেখতে বিশেষ ‘গো–রক্ষক টাস্ক ফোর্স’–এর দলও হাজির ছিল।
গো–সেবা আয়োগ সংগঠনের চেয়ারম্যান ভানি রাম মঙ্গলা জানান, নিয়মের তোয়াক্কা না করেই নাকি ফিরোজপুর ঝিরকা, নাগিনা, শাহ চোখা প্রভৃতি অঞ্চলে দেদার গো-মাংসের বিরিয়ানি বিক্রি করেছে। এই ধরণের সাতটি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অনিল ভিজ। গত বছর সরকার বদলের পরই গো-মাংস নিয়ে কড়া নিয়ম চালু করছে মনোহর লালের সরকার। আনা হয়েছে হরিয়ানা গো–সংরক্ষণ ও গো–সম্বর্ধনা আইন। গো-মাংস বিক্রি, খাওয়া, গরু পাচার একেবারেই নিষিদ্ধ হয়েছে। ধরা পড়লে ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে। সূত্র: আজকাল
বিডি-প্রতিদিন/১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব