অর্থের অভাবে অস্ত্রোপচার করাতে না পারায় গর্ভে মৃত সন্তান নিয়ে ৫ দিন পর মারা গেলেন এক মা। সম্প্রতি ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের কোরবা জেলায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
খবরে বলা হয়, হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা না পেয়ে ২২ বছর বয়সি এই নারীর মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসার আশায় ঘুরেছেন তার স্বামী। তিন জায়গা থেকেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন তারা।
তাদের বলা হয়েছে, আগে ফি ও তিন ব্যাগ রক্ত জমা দিলেই কেবল অস্ত্রোপচার করে গর্ভের মৃত সন্তান অপসারণ করা হবে। কিন্তু চাহিদামতো ফি জমা দিতে না পারায় কোনো চিকিৎসা পাননি তারা। বিষয়টি জানাজানি হলে ছত্তিশগড়ের নারী কমিশন তদন্ত শুরু করে। তদন্তে এর সত্যতার প্রমান মিলেছে।
জানা যায়, কোরবা জেলার কোদিবাহার এলাকার বাসিন্দা গুলাবদাস মহন্ত ও তার স্ত্রী সরস্বতী (২২)। অন্তঃসত্ত্বা সরস্বতী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে স্ক্যানে ধরা পড়ে গর্ভের আট মাসের সন্তান মারা গেছে। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসকরা মহন্ত-সরস্বতী দম্পতিকে গত সোমবার জানান, গর্ভের মৃত সন্তান দ্রুত অপসারণ করতে হাসপাতালে ১০ হাজার রুপি ফি এবং তিন ব্যাগ রক্ত জমা দিতে হবে। ফি জমা না দিলে তারা অস্ত্রোপচার করবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় চিকিৎসকরা।
এদিকে এর মধ্যে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ায় অবস্থার আরও অবনতি হয় ঐ নারীর। সোমবারই তারা পাশের কৃষ্ণ হাসপাতালে যান। কিন্তু সেখানেও একই পরিস্থিতি। ফি ছাড়া ভর্তি করা হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের। এদিকে সরস্বতীর অবস্থা আরও খারাপ হতে থাকে। অবশেষে সোমবার সন্ধ্যার অভাবের কাছ হার মেনে বিদায় নেয় সেই মা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল