১০,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাপান থেকে উভচর বিমান কিনতে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। চলতি মাসেই জাপান সফরে যাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেখানেই এই চুক্তি নিয়ে কথা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। খবর কলকাতা ২৪ ৭ নিউজের।
খবরে বলা হয়, জাপানে নির্মিত একডজন ইউএস-টু আই উভচর বিমান কেনার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই থমকে ছিল। এবার সেটাই পুনরুজ্জীবীত করার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও মোদির এই সফরের কেন্দ্রে রয়েছে অসামরিক পরমাণু চুক্তি। যা দু’দেশের মধ্যে স্বাক্ষর হওয়ার কথা আছে। তবে মনে করা হচ্ছে ভারতের ইউএস-টু আই কেনার সিদ্ধান্তও যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে এই সফরে।
ভারতের ইউএস-টু আই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে নৌবাহিনী ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর জন্য ছটি বড় মাপের উভচর বিমান কেনার পরিকল্পনা। আগামী সোমবার ডিফেন্স অ্যাকিউজিশান কাউন্সিল বা ডিএসি একটি বৈঠক করবে। যার নেতৃত্বে থাকবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্কর। সেখানেই ইউএস-টু আই প্রকল্প নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে আলোচনা হবে এবং অ্যাম্ফিবিয়াস এয়ারক্রাফ্ট কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এই বিশেষ ইউএস-টু আই উভচর বিমানগুলো স্থল এবং জল দু'জায়গা থেকেই শর্ট টেক-অফে পারদর্শী। এই ধরনের বিমান সাধারণত তল্লাশি অভিযান ও উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত হলেও, এই বিমান জরুরি অবস্থায় যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত ৩০ সেনাবাহিনীর দলকেও যে কোন ‘হট জোনে’ পৌঁছে দিতে সক্ষম। যদিও নৌবাহিনীর কাছে আরও উন্নতমানের সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে, যেমন সাবমেরিন বা মাল্টিরোল হেলিকপ্টার। তবে জাপানের সঙ্গে ভারতের ইউএস-টু আই চুক্তি সই চীনের জন্যে কড়া বার্তা বহন করে আনবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল। কারণ সম্প্রতি এশিয়-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের কিছু কার্যকলাপ চিন্তার মেঘ তৈরি করেছিল ভারত এবং জাপান দু'দেশের আকাশেই।
তবে ইউএস-টু আই নিয়ে জাপান-ভারতের চুক্তি স্বাক্ষর হলে, এটাই হবে ভারতের প্রথম জাপান থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনা। কারণ এর আগে জাপান নিজেদেরই ওপর সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানির ক্ষেত্রে স্ব আরোপিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। সম্প্রতি সেই পাঁচ দশকের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে জাপান।
বিডি প্রতিদিন/০৫ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল-১৮