দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শতবর্ষী ধানের চারার হাট। দিন যত যাচ্ছে, সুনাম ও খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ছে পুরোনো এ হাটটির। স্থানীয় ভাষায় এ হাটটিকে বলা হয় পাতোর (ধানের চারা) হাট। সপ্তাহে দুই দিন হাটবার এলেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা। প্রতি বছরের মতো এবারও ধানের চারা বিক্রির হাটটি জমে উঠেছে। রবিবার ও বৃহস্পতিবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত কালিয়া-নড়াইল আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে প্রাচীন চাঁচুড়ী বাজারসংলগ্ন জমিদার আমলের বাবুর মাঠে বৃহৎ হাটটিতে দূরদূরান্ত থেকে আসা কৃষক বিভিন্ন ধরনের ধানের চারা কেনাবেচা করেন।
এ হাট থেকে আশপাশের বিভিন্ন জেলার ব্যাপারীরা পাইকারি দরে বিভিন্ন জাতের ধানের চারা কিনে নিয়ে যান। ইতোমধ্যে হাটটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধানের চারার হাট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এ হাটে বোরো, আমন উভয় মৌসুমে সপ্তাহে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ধানের চারা বেচাকেনা হয় বলে জানিয়েছে বাজার কমিটি। এলাকার অন্তত ৫ হাজার কৃষক এ চারা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। চারা বিক্রি করে বাড়তি রোজগার করায় তাদের সংসারে এসেছে সচ্ছলতা।
এলাকার প্রান্তিক কৃষক আনসার শেখ (৭০) বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি এখানে প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাতো (চারা) বেচাকেনা হয়। নড়াইলসহ দূরদূরান্ত থেকে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা পাতো কিনতে আসেন।’
কালিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইভা মল্লিক বলেন, ‘কালিয়ার চাঁচুড়ী হাট ধানের চারা বেচাকেনার জন্য বেশ প্রসিদ্ধ। বীজতলা থেকে উৎপাদিত চারা বাজারে বিক্রি করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। অল্প সময়ের মধ্যে এটি একটি লাভজনক ফসল।’